ছবি: পিটিআই।
দেশে করোনায় মৃত এবং নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা রেকর্ড বাড়ল গত ২৪ ঘণ্টায়।
গত কাল থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২৬৪৪ জন। গত কাল যে সংখ্যাটা ছিল ২৪১১। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৪০,২৬৩। এঁদের মধ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২৮,০৭০ জন। সেরে উঠেছেন ১০,৮৮৬ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ১৩০৬।
গত ২৯ এপ্রিল দেশে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯,৯৭৪। আজ তা ৪০ হাজার পেরিয়েছে। অর্থাৎ সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ হাজার বেড়েছে মাত্র পাঁচ দিনে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের দাবি, করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার স্থিতিশীল রয়েছে। সুস্থ হওয়ার হারও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বিপদের ২০-র তালিকায় কলকাতা, নয়া দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র
আজ বিবৃতি দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার হার এখন ১২ দিন। গত তিন ধরে এই হার বজায় রয়েছে। সাত দিন ধরে তা ছিল ১১.৭। ১৪ দিন ধরে ছিল ১০.৪। ভারতে এখন দৈনিক ৭৪ হাজারেরও বেশি করোনা-পরীক্ষা হচ্ছে। মোট পরীক্ষার সংখ্যা ১০ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও আইসিএমআরের বক্তব্য, একই সংখ্যক পরীক্ষার পরে স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ পেরিয়েছিল, আমেরিকায় ছিল প্রায় ১.৬৪ লক্ষ, ইটালিতে ১.৫২ লক্ষ। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘অন্যান্য দেশের চেয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে ভারত। সাফল্যের পথে এগোচ্ছি এবং জিতবই।’’ তিনি জানান, করোনা রোগীদের জন্য দেশে আড়াই লক্ষ শয্যা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে প্রায় ২০ লক্ষ পিপিই কিট পাঠিয়েছে। ওষুধ পাঠানো হয়েছে একশোরও বেশি দেশে।
আরও পড়ুন: তথ্য নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজায় ক্ষতি কার
আজ হৃষীকেশের এমসের এক নার্স কোভিড পজ়িটিভ হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আর্জি, করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগী ও চিকিৎসাকর্মীদের সঙ্গে যেন বৈষম্যমূলক আচরণ করা না-হয়। তিনি নিজে দিল্লির লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে করোনা-আক্রান্ত দুই চিকিৎসকের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছেন।
দিল্লির লোদী রোডের সিজিও কমপ্লেক্সে সিআরপি-র সদর দফতরটি আজ সিল করা হয়েছে। রাজধানীতে সিআরপি-র ৩১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ১৩৫ জন জওয়ান করোনা-আক্রান্ত হওয়ায় কেন্দ্রের চিন্তা বাড়ছিলই। এ বার সদর দফতরে কর্মরত এক সিনিয়র অফিসারের ব্যক্তিগত সচিব ও এক বাসচালক করোনা পজ়িটিভ হওয়ায় সদর দফতর সিল করে সেটিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আধাসেনার সমস্ত বাহিনীর প্রধান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজি-দের চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন ‘বাহিনীর দ্বিতীয় স্তর’ তৈরি রাখেন। পুলিশকর্মীরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হতে পারেন ধরে নিয়েই বিকল্প নিরাপত্তাকর্মীদের তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্স কর্মী, এনসিসি ক্যাডেট, স্কাউট, গাইড ও স্টুডেন্টস পুলিশ ক্যাডেটদের পরিষেবা নিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। সংশোধনাগারগুলিতে সংক্রমণ রোখা নিয়েও সতর্ক করেছে কেন্দ্র। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেছেন, ‘‘দিল্লির ঝাঁপ খোলার সময় এসেছে। করোনার সঙ্গে বাঁচার জন্য তৈরি হতে হবে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy