প্রতীকী ছবি।
ইনট্রাসেরিব্রাল হেমারেজে বৃহস্পতিবারই চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো গ্লেনেগলস গ্লোবাল হাসপাতালে এক রোগীর ব্রেন-ডেথ বা মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর ফুসফুসই নতুন জীবন দিল কোভিড-আক্রান্ত এক রোগীকে। এশিয়ায় এই প্রথম কোনও কোভিড রোগীর ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হল। মৃতের হাতও প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এক তরুণীর শরীরে। মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামীর অন্য অঙ্গও দান করতে চান।
সংক্রমণের জেরে ৮ জুন করোনা-আক্রান্ত এক ব্যক্তির ফুসফুস ক্রমশ বিকল হতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও কমতে থাকে। ২০ জুন থেকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয় ওই ব্যক্তিকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২০ জুলাই গাজিয়াবাদ থেকে চেন্নাইয়ের এক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় আক্রান্তকে।
সেখানেই ২৭ অগস্ট ওই কোভিড-আক্রান্ত ব্যক্তির হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিস্থাপনের পরে ৪৮ বছর বয়সি দিল্লির ওই ব্যক্তি বর্তমানে আইসিইউয়ে রয়েছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতালের চেয়ারম্যান তথা চিকিৎসক কে আর বালকৃষ্ণন জানিয়েছেন, প্রথমে ওই মরণাপন্ন রোগীকে নিয়ে বেশ ধন্দে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিজেদের সংক্রমণের ঝুঁকি অগ্রাহ্য করেই চিকিৎসক ও সাপোর্ট স্টাফেরা ওই প্রতিস্থাপনে অংশ নিয়েছিলেন। তা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তাঁরা খুশি বলে জানান বালকৃষ্ণন। মাস দুয়েক আগে আমেরিকায় এক প্রবাসী ভারতীয় চিকিৎসক অঙ্কিত ভরতের নেতৃত্বে গঠিত চিকিৎসকদলও এক করোনা রোগীর সফল ফুসফুস প্রতিস্থাপন করে নজর কেড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর হার ভারতে সর্বনিম্ন, দাবি কেন্দ্রের
ফুসফুসের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই মৃতের হাত মুম্বইয়ের শহরতলির বাসিন্দা মণিকা মোরের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে কলেজে পড়ার সময়েই ঘাটকোপার রেল স্টেশনে একটি দুর্ঘটনায় একটি হাত কাটা গিয়েছিল তাঁর। কৃত্রিম হাতের সাহায্যেই স্নাতক উত্তীর্ণ হন তিনি। কুর্লার একটি হাসপাতালে সমাজসেবায় যুক্তও হয়েছিলেন। তার পরেই হাতের প্রতিস্থাপনের আবেদন জানান ওই তরুণী। করোনার জেরে তা স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ২৭ অগস্ট হাত প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy