বাঘ তাড়া করেছে।
২৪ নভেম্বর: বুক ফুলিয়ে বাঘ তাড়াতে গিয়েছিলেন গ্রামের মানুষ। কিন্তু রয়্যাল বেঙ্গলের পাল্টা তাড়ায় পড়মরি বেড়া টপকে, খেত পেরিয়ে দে দৌড়! কিন্তু বাঘের সঙ্গে দৌড়ে জেতা কি মুখের কথা! ঘাড়ের কাছে বাঘ দেখে প্রাণ ভয়ে নীচে কাদা-বালির গর্তে ঝাঁপ মারলেন এক গ্রামবাসী। তাকে জড়িয়ে ঝাঁপ দিল কেঁদো বাঘও। জাপটাজাপটি করে দু’জনেই আছড়ে পড়ল নীচে।
সকলেই ভাবছেন বাঘের সঙ্গে ডিগবাজি দেওয়া গ্রামবাসীর ভবলীলা সাঙ্গ হওয়া নিশ্চিত। কিন্তু দেখা গেল, মানুষ বাঘকে যত না ভয় পেয়েছে, বাঘ মানুষকে ভয় পেয়েছে তার চেয়েও বেশি! তাই নীচে পড়ে যাওয়া মানুষটিকে থাবা মারা দূরের কথা, বাঘ নিজেই হাঁচড়পাচড় করে গর্ত থেকে উঠে ফের দৌড় দিল বাঘটি।
অসমের শোণিতপুর জেলার ঘটনা। ডিএফও রঞ্জিৎ কোঁয়ার জানান, সম্ভবত কাজিরাঙা বা নামেরি থেকে বেরিয়ে এসেছিল
আরও পড়ুন: ‘বিয়েতে ধর্ম নয়, মানুষই সত্য’ রায় দিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট
প্রাপ্তবয়স্ক বাঘটি। তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বরঘুলি এলাকার নাপাম গ্রামে ঢুকে পড়া বাঘটি দেখে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকে বাঘ তাড়াতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তখনই বাঘটি পাল্টা গ্রামবাসীদের তাড়া করে। এক গ্রামবাসীকে নিয়েই বাঘটি জমির পাশে গর্তে আছড়ে পড়ে। অবশ্য ওই ব্যক্তি পরে অক্ষত অবস্থায় বাঘের কবল বেঁচে পালান। বাঘের তাড়ায় জখম হয়েছেন দু’জন।
বন দফতর, পশু চিকিৎসকদের তিনটি দলের সঙ্গে দিনভর চোর-পুলিশ খেলার পরে সন্ধেয় বাঘটি এক গ্রামবাসীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। পশু চিকিৎসক সামসুল আলি জানান, বাঘটি রাতে ভোমরাগুড়ির দিকে রওনা হয়।
আরও পড়ুন: হাফিজ়ের ‘শাস্তি’কে পাত্তা দিচ্ছে না দিল্লি
তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে পাকড়াও করা নয়, নিরাপদে নিজের এলাকায় ফিরতে দেওয়াই সকলের প্রাথমিক লক্ষ্য। মানুষ তাকে বিরক্ত না-করলে ত্রস্ত বাঘও নির্ভয়ে নিজের ঘরে ফিরে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy