Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
অসমে সাম্প্রদায়িক জটিলতায় কোণঠাসা কংগ্রেস। ছুটে গেলেন সুভাষচন্দ্র। মানুষকে বোঝালেন, ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন অনুচিত। সকলের সমানাধিকার মেনেই তৈরি হোক মন্ত্রিসভা। প্রবল জনসমর্থনে পিছু হটলেন বিরোধীরা। আজ সেই মহাবিপ্লবীর জন্মের ১২৫ বছর পূর্তি।
Netaji Subhash Chandra Bose

Subhas Chandra Bose: গভর্নরের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বানচাল করে দিলেন নেতাজি

নেতাজির প্রথম শিলংবাসের সময়েই তৃতীয় ও শেষ বারের শিলং সফরে এসেছেন রবীন্দ্রনাথও।

সপরিবার: শিলংয়ে দাদা শরৎচন্দ্র ও বৌদি বিভাবতী দেবীর মাঝে সুভাষচন্দ্র বসু। একেবারে বাঁ দিকে, তাঁর বাবা জানকীনাথ বসু

সপরিবার: শিলংয়ে দাদা শরৎচন্দ্র ও বৌদি বিভাবতী দেবীর মাঝে সুভাষচন্দ্র বসু। একেবারে বাঁ দিকে, তাঁর বাবা জানকীনাথ বসু

উমা পুরকায়স্থ
শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:১৫
Share: Save:

চিত্র ১: “যদি দেশপ্রেম ও টেররিজম সমার্থক হয়, তবে আমাকে টেররিস্ট বললে আমি আপত্তি করব না। হ্যাঁ, আমি একজন দেশপ্রেমিক... আমাদের দেশ কেন অন্য জাতির পদানত থাকবে?... আমি পরিষ্কার বলছি, দরকার হলে আমাদের স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে নামতে হবে। আমাদের দেশ আমরাই শাসন করব এবং সেটাই স্বাভাবিক…”

সময়টা ১৯৩৮ সালের শরৎকাল। অবিভক্ত অসমে সদ্য কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা গড়েছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। রুখে দিয়েছেন মুসলিম লীগের চক্রান্ত। শাণিত যুক্তিতে খণ্ডন করছেন ব্রিটিশের বিভাজন ও দমন নীতি। সরকারি নজর সর্বক্ষণ তাঁর ভাষণে, চিঠিপত্রে। সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি তিনি। সেই অবস্থায়, শিলংয়ের সেন্ট এডমন্ড কলেজের সভাগৃহে গর্জে ওঠে সুভাষচন্দ্র বসুর কণ্ঠস্বর। গলায় রীতিমতো ‘সন্ত্রাস’, ‘রাজদ্রোহ’!

কলেজের পরবর্তী অধ্যক্ষ ব্রাদার ভিয়েরা ও অধ্যাপক নলিনীকান্ত মিশ্রের বর্ণনায় জানা যায়, দর্শকাসনে আইরিশ ব্রাদার জে আই ও লিরি, অন্যান্য অধ্যাপক ও ছাত্র ছাড়াও হাজির বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ রাজপুরুষ। কিন্তু সারা হলঘরে অখণ্ড নিস্তব্ধতা। দর্শক মন্ত্রমুগ্ধ। এত বড় কথার পরেও তাঁর উপরে নেমে এল না রাজরোষ!

চিত্র ২: নেতাজির সামনে হাজির হয়ে ছোট্ট মেয়েটা তাঁর হাতে গুঁজে দিল মুগা কাপড়ে তৈরি একটা থলি। নেতাজি উৎসুক হয়ে জানতে চাইলেন, ‘এতে কী আছে!’

মেয়েটা বলল, ‘এতে পঁচাত্তর টাকা আছে। আমি চাঁদা তুলেছি।’

বাবা উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মী। তাই নেতাজির কাছে ঘেঁষলে কর্তাদের রোষানলে পড়ায় আশঙ্কা থাকে। কিন্তু নাছোড়বান্দা মেয়ে কল্পনা বরুয়া জেদ ধরেছে, ‘নেতাজিকে দেখবই।’ শেষ পর্যন্ত রাজি হতে হয় বাবাকে। আনন্দে নিজের তৈরি মুগা সিল্কের থলিতে মেয়ে চাঁদা তুলতে শুরু করে। মোঁপ্রেম হিন্দু মিশন প্রাঙ্গণে একটু আগে সেই ব্যাগটাই নেতাজির হাতে তুলে দিয়েছে কল্পনা।

অবাক নেতাজির প্রশ্ন, ‘এত টাকা দিয়ে আমি কী করব?’

মেয়ের ঝটপট জবাব, ‘কেন, দেশের কাজে লাগাবেন।’

সদ্যকিশোরীর স্বতঃস্ফূর্ত সেই আবেগের সামনে অভিভূত সুভাষ কিছু ক্ষণ কথা বলতে পারেননি। পরে আদর করে কল্পনাকে কাছে টেনে মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন, ‘সাহসী হও। দেশকে ভালবাসতে শেখো।’

কল্পনাকে প্রশ্ন করলেন, ‘তুমি বন্দে মাতরম্ গানটা গাইতে জানো?’ কল্পনা জানে না বলায় নিজে এক লাইন গেয়ে শোনালেন এবং কল্পনাকে তাড়াতাড়ি গানটা শিখে নিতে বললেন। মন্ত্রমুগ্ধ কল্পনা তিন দিনের মধ্যে গানটা শিখে নিয়েছিল।

পরবর্তী কালে এই কল্পনা বরুয়া গুপ্তই হয়েছিলেন সমগ্র অসমের প্রথম মহিলা সাংবাদিক। ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত কল্পনাদেবী দীর্ঘ দিন আনন্দবাজার পত্রিকা-র বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন।

উপরের ছবি দু’টো শিলংয়ে নেতাজির জনপ্রিয়তার কোলাজের দু’টো টুকরোমাত্র।

১৯৩৮ সালে নেতাজির শেষ শিলং সফর জাতিধর্ম নির্বিশেষে তাঁর জনপ্রিয়তা এমন তুঙ্গে নিয়ে যায় যে, আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদানের জন্য অনেক যুবক পাগলের মতো ছুটে গিয়েছিলেন।

সিঙ্গাপুর, আন্দামান, বর্মা হয়ে নাগাল্যান্ড-মণিপুরে নেতাজি ও আজাদ হিন্দের লড়াইয়ে তখনও বাকি বছর পাঁচেক। স্বাধীনতা ও দেশভাগের বাকি নয় বছর। কিন্তু ১৯৩৮ সালে নেতাজি দেওয়াল হয়ে না দাঁড়ালে অসম স্বাধীন ভারতের মানচিত্রে থাকত কি না সন্দেহ।

১৯২৭ সালের জুনে অসুস্থ সুভাষ প্রথম বার শিলংয়ে আসেন। পৌঁছে দেন বাবা, দাদা ও বৌদি। থাকার ব্যবস্থা হয় কেলসাল লজে। ব্রিটিশের নজরবন্দি অবস্থায় সেখানে চার মাস কাটান সুভাষ। চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন শিলং শহরের প্রবীণ চিকিৎসক পুলিনবিহারী দেব। বিধানচন্দ্র রায়ও তখন শিলংয়ে তাঁর গ্রীষ্মকালীন আবাসে রয়েছেন। প্রায়ই দেখে যেতেন সুভাষকে। আষাঢ়ে ঘ্যানঘেনে বর্ষার শিলংয়ে ক্লান্ত না লাগলেও ‘ডিপ্রেসিং’ বোধ হচ্ছে বলে চিত্তরঞ্জন দাশের স্ত্রী বাসন্তী দেবীকে চিঠিতে লিখেছেন সুভাষচন্দ্র। অসমের দুই নেতা তরুণরাম ফুকন ও নবীন বরদলৈ সরকারের ‘বিশেষ অনুমতি’ নিয়ে সুভাষচন্দ্রের একাকিত্ব দূর করতে আসতেন। আর বিপ্লবী যুবকের জন্য ভালমন্দ রান্না করে পাঠাতেন গোপনচারিণী সাহসী মায়েরা। যাঁদের স্বামীরা ছিলেন সরকারি কর্মী।

নেতাজির প্রথম শিলংবাসের সময়েই তৃতীয় ও শেষ বারের শিলং সফরে এসেছেন রবীন্দ্রনাথও। উঠেছেন সলোমন ভিলায়। কিন্তু তাঁদের দেখা হয়নি। সম্ভবত দু’জনই তখন রাজরোষে।

পরের বার এক টালমাটাল রাজনৈতিক পরিবেশে শিলংয়ে পা রাখেন জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সুভাষ। মুসলিম লীগ তখন অসমের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ শুরু করেছে। পৃষ্ঠপোষক মহম্মদ সাদউল্লাহের মনে তখন ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন এবং সুবিশাল অসম রাজ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে তাকে সেই ইসলামিক রাষ্ট্রের অংশ করার অভিসন্ধি।

১৯৩৭ সালে ব্রিটিশরাজ প্রাদেশিক রাজ্যগুলিকে স্বায়ত্তশাসনের আংশিক অধিকার দিয়ে গণভোটের মাধ্যমে নিজ নিজ রাজ্যে মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমতি দিল। শুরু হল সাদউল্লাহর কূটনৈতিক দৌরাত্ম্য। ভারতের অন্য সাত রাজ্যে কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতলেও অসমে ১০৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পায় মাত্র ৩৮টি আসন। স্যর সাদউল্লাহ তখন মুসলিম দলগুলিকে একত্র করে গঠন করেন ‘ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি’। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গঠন করেন অসমে সরকার। নিজে হন অসমের প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী হয়েই ‘গ্রো মোর ফুড’ অভিযানের নামে পূর্ববঙ্গের রংপুর, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ ইত্যাদি জায়গা থেকে অজস্র মুসলিম পরিবারকে সরকারি খরচে অসমে এনে বসবাসের ব্যবস্থা করে দিলেন সাদউল্লাহ। যাতে পরবর্তী কালে মুসলিম লীগের জয়যাত্রা অক্ষুণ্ণ থাকে।

কিছু দিনের মধ্যেই সাদউল্লাহ সরকারের বিরুদ্ধে চার দফা অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। সাদউল্লাহ তার যুক্তিগ্রাহ্য জবাব না দিয়ে হঠাৎই গভর্নরের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। প্রচলিত নিয়মানুযায়ী গভর্নর বিরোধী পক্ষের কংগ্রেস নেতা গোপীনাথ বরদলৈকে মন্ত্রিসভা গঠনের আহ্বান জানান। ১৯৩৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের তারিখও নির্দিষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আচমকা বেঁকে বসেন সাদউল্লাহ। বলেন, পরিষদের মনোনীত ইউরোপীয় বিধায়কদের সাহায্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন। সঙ্কটকালে দিল্লি থেকে অসমে এলেন কংগ্রেস সাংসদ মৌলানা আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু তিনিও কংগ্রেসের দলীয় সংখ্যালঘুতা বিচার করে কংগ্রেস মন্ত্রিসভা গঠনে অনুমতি দিলেন না। গভর্নর সে কথা মেনে নিতে আরও উৎফুল্ল হলেন সাদউল্লাহ।

চূড়ান্ত অসহায় অবস্থায় ‘পরিত্রাতা’ হিসেবে সুভাষকে ফোন করলেন গোপীনাথ বরদলৈ ও বিষ্ণুরাম মেধি। জরুরি কল পেয়েই সেপ্টেম্বরে আসানসোল থেকে শিলং পৌঁছলেন সুভাষ। উঠলেন অ্যাশলে হল-এ। সব শুনে ডেকে পাঠালেন কংগ্রেসের সব বিধায়ক ও অন্যান্য দলের নেতাদের। বিশেষ জোর দিলেন উপজাতি নেতাদের উপরে। তাঁর ডাক পেয়ে কাছাড়, করিমগঞ্জ, শ্রীহট্ট, ধুবুড়ি, গৌরীপুর, খাসিয়া, জয়ন্তিয়া পাহাড়ের উপজাতীয় নেতারা সকলে হাজির।

অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, বাগ্মিতা, কূটনৈতিক প্রজ্ঞা এবং যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় সুভাষ সকলের মন জিতে নিলেন। বোঝালেন, অসমে কোনও ভাবেই মুসলিম লীগের সরকার গড়তে দেওয়া চলবে না। তা হলে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে বাকি সম্প্রদায় ও অসম। বোঝালেন, ধর্মের ভিত্তিতে ক্ষমতা দখল, বিভাজন বা রাজ্য শাসন মোটেই এখানকার সংস্কৃতি বা আদর্শ হতে পারে না। জাতীয় কংগ্রেসের নীতি হল সকলের সমানাধিকার, সেই নীতি মেনেই অসমের মন্ত্রিসভা গঠিত
হোক। এই বিভাজন নীতির পিছনে যে ইংরেজদের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে, তাও সকলকে বোঝাতে সক্ষম হলেন নেতাজি।

এর পর সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনি ঘোষণা করেন, অসমের গভর্নর মন্ত্রিসভা গঠন স্থগিত রেখে বেআইনি কাজ করছেন। সরকারপক্ষ পদত্যাগ করলে বিরোধীকে সরকার গড়তে ডাকাই দস্তুর। কিন্তু এখানে মুসলিম লীগকে ফের সরকার গড়ার সুযোগ দিলে ফল হবে অত্যন্ত মারাত্মক।

অসমের রাজনৈতিক সঙ্কটের সংবাদ সংগ্রহে কলকাতা থেকে যাওয়া অসমিয়া সাংবাদিক সতীশচন্দ্র কাকতির প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ সে দিন বলেছিলেন, “কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা গঠন করতেই হবে অসমে। না হলে অসম শেষ হয়ে যাবে।” অসমের জন্য নেতাজির
এমন আন্তরিক উৎকণ্ঠা ও দূরদর্শিতা দেখে মুগ্ধ সতীশচন্দ্র তাঁকে এক ‘কিংবদন্তি দেশপ্রেমী’ বলে অভিনন্দিত করেছিলেন।

সাংবাদিক সম্মেলনের পরই সুভাষ শিলং থেকে দিল্লিতে ভাইসরয়কে ফোন করেন। বলেন, গভর্নরের পক্ষপাতিত্বের জন্য অসমে এখন সরকার ছাড়াই শাসন চলছে। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অসমে কংগ্রেসের শপথগ্রহণ যদি ১৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দিনে না হয়, তবে জাতীয় কংগ্রেস এই অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনে নেবে না
এবং প্রয়োজনে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের কংগ্রেস মন্ত্রিসভাও এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করবে।

সুভাষের তেজ ও জেদের সামনে মাথা নোয়াতে হয় গভর্নরকে। ভাইসরয়ের নির্দেশে পরদিনই উঠে যায় গভর্নরের স্থগিতাদেশ। কংগ্রেসকে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের আহ্বান জানালেন গভর্নর। গোপীনাথ বরদলৈ-এর নেতৃত্বে কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা শপথ নিল। মুসলিম লীগেরও অনেক সদস্য সুভাষের ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে ফের কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।

সুভাষচন্দ্র তাঁর তীক্ষ্ণ দূরদর্শিতা দিয়ে ১৯৩৮ সালে যে আশঙ্কা করেছিলেন, সেটাই ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় অসমের নেতারা হাড়ে হাড়ে বুঝেছিলেন। সে দিন সুভাষচন্দ্র ভাইসরয়কে ফোন করে চাপ সৃষ্টি না করলে আজকের অসমের স্থান হয়তো হত অন্য দেশের মানচিত্রে।

মহান দেশনেতাকে শিলংয়ের বেশ কিছু স্থানে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেন্ট এডমন্ড’স কলেজে আইরিশ ব্রাদারের আমন্ত্রণে আসা সেই সভায় সুভাষচন্দ্র আরও বলেছিলেন, “আমায় ব্রিটিশ সরকার জেলে পুরে রাখতেই ভালবাসে। বলে আমি নাকি টেররিস্ট। হ্যাঁ, আমি দেশকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসি। স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। সে অধিকারে আমরা কেন বঞ্চিত থাকব? ইংরেজের বিরুদ্ধে আমার কোনও বিদ্বেষ নেই। তাঁরা আমাদের দেশে থাকতে পারেন। তবে শাসক হিসেবে নয়, ভারতবাসী হিসেবে।”

সেই সভায় নেতাজির গলায় সে দিন পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল শিলংয়ের নিজস্ব ফুল আকাশিরঙা ‘ফরগেট মি নট’-এর সুবিশাল এক মালা। যে মালায় জড়িয়ে ছিল শিলংবাসীর ভালবাসা, আর তাঁর মতো এক অনন্য ব্যক্তিত্বকে কখনও না ভোলার বার্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Netaji Subhash Chandra Bose
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE