এ পার বাংলার চিংড়ি আর ও পার বাংলার ইলিশের যুদ্ধ চিরকালীন। কিন্তু তা সত্ত্বেও গঙ্গাপারের মানুষ যেমন ইলিশ পেলে ছাড়তে চান না, তেমনই পদ্মাপারেও চিংড়ি খাওয়া হয় সাপটে।
পূর্ববঙ্গের চট্টগ্রামের খ্যাতি তার ঐতিহ্যবাহী রন্ধনপ্রণালীর জন্য। সেখানকার মেজবানি মাংস, কালাভুনা, শুঁটকির ভর্তা, নোনা ইলিশের সুনাম খাদ্যরসিকদের মুখে মুখে ফেরে। সেই চট্টগ্রামেই চিংড়ি রাঁধা হয় একটু অন্য প্রণালীতে। যা বাড়িতে খুব অল্প সময়ে আপনিও বানিয়ে নিতে পারেন।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
২৫০ গ্রাম ছোট চিংড়ি ভাল ভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া
১০টি শুকনো লঙ্কা গরম জলে ভেজানো
৩টি টম্যাটো গরম জলে ভাপিয়ে নেওয়া
১২ কোয়া রসুন
৩ টেবিল চামচ ভিনিগার
আধ কাপ সর্ষের তেল
স্বাদমতো নুন
১ চা চামচ চিনি

প্রণালী: প্রথমেই গরম জলে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পরে শুকনো লঙ্কাগুলি ভিনিগারে ভিজিয়ে রাখুন আরও ১৫ মিনিটের জন্য।
গরম জলে ভাপিয়ে নেওয়া টম্যাটো খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরোয় কেটে নিন। চিংড়িগুলোও খোসা ছাড়িয়ে রাখুন।
এ বার মিক্সারের জারে খোসা ছাড়ানো চিংড়ি দিয়ে ভাল ভাবে বেটে নিন। তার পরে তার মধ্যে ভিনিগারে ভেজানো লঙ্কা, টম্যাটোর টুকরো এবং রসুন দিয়ে আরও এক বার ভাল ভাবে বেটে নিন।
কড়াইয়ে তেল গরম করে তার মধ্যে দিয়ে দিন চিংড়িবাটার মিশ্রণটি। ভাল ভাবে ভাজার পরে শুকিয়ে এলেই বুঝবেন, রান্নাটি তৈরি। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।