নারকেলের দুধ পুষ্ট মালাইকারি থেকে সর্ষে দিয়ে চিংড়ির ভাপা অথবা ডাবের জলে পরিপুষ্ট ডাব-চিংড়ি বাঙালির প্রিয় খাদ্যতালিকার উপরের দিকেই থাকবে। সেখানে বাঙাল-ঘটির ভেদাভেদ নেই। তবে চিংড়ি মানেই শুধু মালাইকারি নয়, তার হরেক রকম রন্ধনপ্রণালী রয়েছে। ঘন করে সর্ষে বাটায় মাখিয়ে চিংড়ি ভাপার সঙ্গে যদি কাঁচা আম মিশিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে কেমন হয়? আম ডাল আর আমের চাটনি খেয়ে অভ্যস্ত স্বাদকোরক আম সহযোগে চিংড়ি ভাপার স্বাদ পেলে যে চমকে উঠবে, তাতে সন্দেহ নেই। কাঁচা আমের সময় শেষ হয়ে এল বলে। এই সুযোগে আম দিয়ে চিংড়ি রেঁধে খেয়েই দেখুন না।
আম-চিংড়ি সর্ষে বাটা দিয়ে রাঁধা যায় সহজেই। সময়ও বেশি লাগে না। ধাপে ধাপে প্রণালীটি জেনে নিলেই হল।
সর্ষে বাটায় আম-চিংড়ির প্রণালী
উপকরণ
২৫০ গ্রাম চিংড়ি
২ চা-চামচ সর্ষে-পোস্ত বাটা
১/৪ কাপ নারকেল কোরা
১টি কাঁচা আম কুরিয়ে নেওয়া
১ চামচ কাঁচালঙ্কা বাটা
২ চামচ সর্ষের তেল
আধ চা-চামচ কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো
১ চামচ হলুদ গুঁড়ো
স্বাদ মতো নুন ও চিনি
১ কাপ নারকেলের দুধ
আরও পড়ুন:
প্রণালী
চিংড়িগুলি ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। একটি পাত্রে সর্ষে-পোস্ত বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, নারকেল কোরা ও অল্প জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে ফেলুন। কড়াইতে তেল গরম করুন। তাতে কাঁচালঙ্কা দিয়ে চিংড়িগুলি কম আঁচে ভেজে তুলে রাখুন। এর পর আবারও তেল দিন কড়াইতে। তাতে সর্ষে, পোস্ত, নারকেলের মিশ্রণ দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। অল্প জল দিয়ে হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো, কয়েকটি কাঁচালঙ্কা দিয়ে কম আঁচে ফুটতে দিন। তেল ছাড়লে তাতে নুন, মিষ্টি ও আম কোরা দিয়ে ফোটান। এর পর নারকেলের দুধ আর চিংড়িগুলি দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর কম আঁচে ভাপে রান্না করতে হবে। হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে আরও মিনিটখানেক রাখুন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন আম-চিংড়ি।