গরম ভাতের সঙ্গে খেতেও দারুণ লাগে বেগুন ভাপা। ছবি: তন্বীর পাকশালা।
লুচি কিংবা রুটি নয়, গরম ভাতের সঙ্গে সোনা মুগের ডাল আর বেগুন ভাজার জুটিও বাঙালির পছন্দের। তবে শরীরের জন্য ভাজাভুজি খাওয়া একেবারে বারণ। অন্যান্য দিন মাছ, মাংস বা ডিম কিছু একটা থাকলে চলে যায়। কিন্তু সমস্যা হয় নিরামিষের দিন! কী রাঁধবেন, কিছুতেই ভেবে পান না। তার উপর নিয়মের গেরো তো রয়েছেই।
বেগুনই যদি রাঁধার মূল উপকরণ হয়, তা হলে ভাজা কিংবা ঝাল না করে রাঁধতে পারেন বেগুন ভাপা। বেশি সময়ও লাগে না। আবার অতিরিক্ত তেল-মশলাও ব্যবহার করতে হয় না। গরম ভাতের সঙ্গে খেতেও দারুণ লাগে। রইল প্রণালী।
উপকরণ
২টি বেগুন
২ টেবিল চামচ কালো সর্ষে
২ টেবিল চামচ রাই সর্ষে
২ টেবিল চামচ পোস্ত
২-৩টি কাঁচালঙ্কা
স্বাদ অনুযায়ী নুন
সামান্য গুঁড়ো লঙ্কা
সামান্য হলুদ গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
অল্প কুরোনো নারকেল
প্রণালী
প্রথমে বেগুন কেটে নিতে হবে। বেগুনি ভাজার জন্য যেমন পাতলা করে বেগুন কাটেন, অনেকটা তেমন ভাবেই কাটুন। তবে, অতটা পাতলা হবে না।
এ বার সর্ষে, পোস্ত, কাঁচালঙ্কা এবং সামান্য নুন দিয়ে শিলে বেটে নিন। মিহি করে বেটে নিলে খেতে ভাল লাগবে।
স্টিলের টিফিন বাক্সতে সর্ষে-পোস্ত বাটা, আরও একটু নুন, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো এবং সামান্য জল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
এ বার কেটে রাখা বেগুনগুলোর দু’পিঠে ওই মিশ্রণ ভাল করে মাখিয়ে উপর থেকে সর্ষের তেল, চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা এবং কোরানো নারকেল দিয়ে বাক্সের মুখ বন্ধ করে দিন।
কড়াইতে জল ফুটতে দিন। এর মধ্যে বসিয়ে দিন স্টিলের ওই টিফিন বাক্সটি। পুরো রান্নাটাই হবে ভাপে। বাক্সের উপর ভারী কিছু বসিয়ে দিতে পারলে আরও ভাল হয়।
মিনিট দশেক রেখে গ্যাস বন্ধ করে ওই অবস্থায় রেখে দিতে হবে আরও কিছু ক্ষণ। পরিবেশন করার আগে এক বার শুধু গরম করে নিলেই কাজ শেষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy