‘ভেতো-বাঙালি’। সাধে কি এমন উপাধি মিলেছে! গরম গরম সাদা ভাত, সঙ্গে যা খুশি— ব্যস। কেবল বাঙালি নয়, গোটা ভারতেই বিরিয়ানি, পোলাওয়ের জনপ্রিয়তা রয়েছে, যে খাবারগুলির ভিত সেই ভাত। কিন্তু নতুন যুগে ওজন ঝরানোর যে ঝড় উঠেছে, তার ঠেলায় ভাতের খাতির কিছুটা কমেছে। কিন্তু জানেন কি, ভাত খেয়েও রোগা হওয়া যায়? কেবল জানতে হবে ভাত রান্না করার কৌশল।
মূলত চার উপায়ে ভাত রান্না হয়—
১. বেশি পরিমাণে জলে চাল ফুটিয়ে, পরে সেই জল ফ্যান হিসেবে গেলে ফেলা হয়। ঝরেঝরে ভাত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এমন ভাবেই রান্না করতে হয়।
২. কম পরিমাণে জলে চাল সেদ্ধ হয়। জল পুরোপুরি শুষে নেয় ওই চাল। তাতেই তৈরি হয়ে যায় ভাত।
৩. আগে থেকে চালগুলি জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। তার পর স্টোভে বসানো হয়। তাতে ভাত বেশ নরম হয়।
৪. প্রেশার কুকারে বাষ্পের চাপে ভাত রান্না হয়। সবচেয়ে কম সময় লাগে এই পদ্ধতিতে।
কোন পদ্ধতিতে ভাত রান্না করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
তবে নতুন এক ধরনের রান্নার কথা বলা হচ্ছে সমাজমাধ্যমে। এক চিকিৎসক নতুন পদ্ধতি শিখিয়েছেন, যা অনেকের ক্ষেত্রে উপকারী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। নাম, ‘পার-বয়েলিং অ্যান্ড রিফ্রেশিং ওয়াটার মেথড’। আর্সেনিক কমানোর জন্য এই নতুন পদ্ধতি বেশ কার্যকর।
· প্রথমে চাল অতিরিক্ত জলে আধ-সেদ্ধ করে নিতে হবে।
· এর পর সেই জল ফেলে দিয়ে, নতুন জল দিয়ে আবার রান্না করতে হবে।
· তার পর ফুটিয়ে ফ্যান ঝরাতে হবে।
এই পদ্ধতিতে আর্সেনিকের পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব। এ ছাড়া আরও একটি পদ্ধতি রয়েছে অবশ্য। ভাত ফ্রিজে রাতভর রেখে দেওয়া। এই দুই পদ্ধতিতেই ক্যালোরি ১৫–২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে ভাতে।
তবে, ‘পাব মেড’-এ ২০১৮-য় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত জলে (১:৬ অনুপাতে) রান্না করলে বা পার-বয়েলিং পদ্ধতিতে ভাত রাঁধলে আর্সেনিক পরিমাণ কমে যায় ঠিকই, কিন্তু প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও চলে যায়। ফলে যথেষ্ট পুষ্টি না মেলার ঝুঁকি থেকে যায়। কারও কারও জন্য সেটি আবার খারাপ। তাই স্বাস্থ্যের জন্য কোন পদ্ধতিটি ভাল, সেটা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকের থেকেই।