দুর্গাপুজোর সঙ্গে পেটপুজো ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। পুজোর ক’দিন ঘরে-বাইরে চলতে থাকে জমিয়ে ভূরিভোজ। পোলাও-মাংস থেকে শুরু করে বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টি, রকমারি পানীয়– কিছুই বাদ পড়ে না এই দিনগুলোয়। সারা দিন ঘোরাঘুরির পর অনেকেই বাইরে খেতে পছন্দ করেন না। আবার পুজোয় রেস্তরাঁগুলির সামনে লম্বা লাইন দেখে অনেকেরই খিদে মরে যায়। তখন বাড়িতে এসে খাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। তাই পুজোর ক’দিন বাড়িতে ভালমন্দ কিছু না রাঁধলেই নয়। খুব বেশি সময় খরচ না করেই সুস্বাদু কী পদ বানানো যায়, ভাবছেন? দুর্গাপুজোর ক’দিন ঠাকুরবাড়ির মাছ, মাংস কিংবা নিরামিষ পদ দিয়েই সারতে পারেন ভূরিভোজ। চটজলদি আর অল্প উপকরণেই বানিয়ে ফেলা যায় ঠাকুরবাড়ির রকমারি পদ। পুজোর ভোজের মেনুতে রাখতে পারেন ঠাকুরবাড়ি স্পেশ্যাল মাংসের মালাইকারি।
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম পাঁঠার মাংস
৩-৪ টেবিল চামচ ঘি
১ কাপ পেঁয়াজকুচি
স্বাদ মতো নুন
১টি পেঁয়াজ, ১ ইঞ্চি আদার টুকরো, ৪টি কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে বাটা
১ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
১ চামচ জিরে, ১ চামচ ধনে আর ২টি শুকনো লঙ্কা একসঙ্গে গুঁড়ো করা
১ কাপ নারকেলের দুধ
১ চামচ ময়দা
দারচিনিগুঁড়ো ১ চা চামচ
ভিনিগার ১ চামচ
প্রণালী:
কড়াইতে ঘি গরম করে পেঁয়াজকুচি বাদামি করে ভেজে নিন। এ বার মাংস আর নুন দিয়ে ভাল করে নাচাড়াড়া করুন। মিনিট পাঁচেক পর পেঁয়াজ-আদা-লঙ্কা বাটা আর হলুদ দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মশলার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে বেটে রাখা গুঁড়োমশলা মিশিয়ে দিন। এ বার গরম জল দিয়ে মাংস সেদ্ধ হতে দিন। সময় বাঁচাতে প্রেসার কুকার ব্যবহার করতে পারেন। তার পর মাংসের ঝোলে নারকেলের দুধে সামান্য ময়দা গুলে মিশিয়ে দিন। শেষে দারচিনির গুঁড়ো আর ভিনিগার ছড়িয়ে দিন। ঝোল মাখোমাখো হয়ে এলে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন। পোলাও কিংবা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন মাংসের মালাইকারি।