ভাতের সঙ্গে ঘন ডাল থাকলে মন্দ হয় না। ছবি: সংগৃহীত।
কষা মাংস, মাছের কালিয়া, ডিমের ভাপা, চিংড়ির মালাইকারি, থালার চারপাশে যতই পঞ্চব্যাঞ্জন সাজানো থাক, প্রথম পাতে ডাল না হলে ঠিক জমে না। হাঁসফাঁস করা গরমের দুপুরে হোক কিংবা হাড়কাঁপানো শীতে, ভাতের সঙ্গে ঘন ডাল থাকলে মন্দ হয় না।
আমিষ কিংবা নিরামিষ, সব রকম ভাবে রাঁধতে পারেন ডাল। স্বাদের পাশাপাশি ডাল যত্ন নেয় স্বাস্থ্যেরও। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে শুরু করে শরীর চাঙ্গা রাখা, ডালের স্বাস্থ্যগুণ কম নয়। তবে ডাল খেয়েও অনেকের হজমের গোলমাল দেখা দেয়।
ডাল এমনিতে শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারী। শরীরে শক্তি জোগায় ডাল। কিন্তু ডাল খেয়ে হজমের সমস্যা হয়, এ কথা একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়। ডাল ভাল করে রান্না না করলে অনেক সময় হজম হতে দেরি হয়। আবার ডাল ঠিক করে সেদ্ধ না হলেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
ডাল রান্নায় পারদর্শী অনেকেই। এর চেয়ে সহজ রান্না আর হয় না, তেমনটাই মনে করেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু ডাল রাঁধারও প্রাথমিক কিছু নিয়ম আছে। সেগুলি মেনে চললে আপনার হাতের ডাল খেয়েই ধন্য ধন্য করবেন সকলে। কী সেই নিয়ম?
প্রথম ধাপ
যে ডাল রাঁধছেন, রান্না চাপানোর আগে জলে ভিজিয়ে রাখুন আধঘণ্টা মতো।
দ্বিতীয় ধাপ
ভেজানো ডাল, বেশ খানিকটা জল, নুন, হলুদ এবং তেল একসঙ্গে প্রেশারে দিয়ে সেদ্ধ করতে বসান।
তৃতীয় ধাপ
৩টি সিটি পরলে প্রেশার নামিয়ে নিন। প্রেশার থেকে সেদ্ধ ডালটি অন্য পাত্রে ঢেলে রাখুন।
চতুর্থ ধাপ
কড়াইয়ে সামান্য তেল গরম করতে দিন। কী ডাল রাঁধছেন, তার উপর নির্ভর করছে ফোড়ন। ডালের পদ অনুযায়ী ফোড়ন দেওয়ার আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা ডাল কড়াইয়ে দিয়ে দিন। বাকি উপকরণ যা যা দেওয়ার সব দিয়ে, ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। ডাল উথলে উঠলে নামিয়ে দিন। এই পদ্ধতিতে ডাল রাঁধলে স্বাদ বহু দিন মুখে লেখে থাকতে বাধ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy