শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে। শীতকাল মানেই তো খাওয়াদাওয়ার মরসুম। ছোট ছোট নতুন আলুর দম সঙ্গে কড়াইশুঁটির কচুরির স্বাদ যেন অমৃত। কেবল কড়াইশুঁটি নয়, ডালের কচুরি, মাছের কচুরি, হিংয়ের কচুরি— কচুরির রকমভেদ অনেক। সকালের জলখাবারে হোক বা রাতের ভোজন, শীতের দিনে কচুরি না বানালেই নয়। তবে সমস্যা একটিই। কচুরির পেটের মধ্যে কিছুতেই পুর থাকে না। বেলতে গেলেই ময়দা ফেটে তা বেরিয়ে আসে। অনেকের আবার অভিযোগ বাড়িতে বানানো কচুরি দোকানের মতো খাস্তা হয় না! কী ভাবে কচুরি বানালে স্বাদ হবে মনের মতো আর খেতে হবে একে বারে দোকানের মতো, রইল হদিস।
১) কচুরি বানানোর সময় আটা বা ময়দার মণ্ডটি ভাল ভাবে মাখা ভীষণ জরুরি। আটা বা ময়দার মধ্যে নুন, চিনি আর ঘি বা তেলের ময়ম দেওয়ার পর শুকনো অবস্থায় ভাল করে মেখে নিতে হবে। তার পর অল্প অল্প করে ইষদুষ্ণ জল দিয়ে ভাল করে মেখে নিয়ে বেশ নরম মণ্ড বানিয়ে নিতে হবে।
২) ময়দা মাখার সঙ্গে সঙ্গে কচুরি বানালে কিন্তু মোটেই খাস্তা হবে না। এর জন্য মণ্ডটি আধ ঘণ্টা ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। তার পরেই লেচি তৈরি করুন।
৩) কচুরির মিশ্রণ যেন শুকনো হয়, সেটা মাথায় রাখা জরুরি। আলু, মটরশুঁটি, ডাল যাই দিয়ে কচুরির পুর বানান না কেন, শেষে এক টেবিল চামচ বেসন ছড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। এই টোটকা মানলে কচুরির পুরে কোনও রকম জল থাকবে না। পুর যত শুকনো হবে ততই কচুরির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসার ভয় কমবে।
৪) কচুরির ভিতরে পুর ভরার সময় সাবধান। প্রথমে ছোট বাটির মতো আকার করে তার পর ভিতরে পুর ভরুন। এ বার ভাল করে মুখ বন্ধ করে দিন। বেশি স্বাদের আশায় বেশি বেশি পুর দিলে কচুরির পুর বেলতে গেলেই বেরিয়ে আসবে। তাই পরিমাণ মতো পুর দিতে হবে। বেলার সময় খুব বেশি চাপ দেবেন না, তা হলেই পুর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে না।
৫) কচুরি ভাজার সময় তেল যেন খুব বেশি গরম না হয় সে দিকে নজর রাখা জরুরি। মাঝারি আঁচে সময় নিয়ে কচুরি ভাজুন, তা হলেই হবে দোকানের মতো মুচমুচে।