বাড়িতে ডালের সঙ্গে আলুভাজা খেতে ইচ্ছে না করলেও রেস্তরাঁয় গিয়ে বার্গার বা স্যান্ডউইচের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই চাই-ই-চাই খুদের। বার্গার, ফিশ ফ্রাই, স্যান্ডউইচ থালায় পড়ে থাকলেও সঙ্গে দেওয়া ফ্রেঞ্চ ফ্রাইগুলি কিন্তু নিমেষে উধাও হয়ে যায়। খুদের আবদার মেটাতে বাজার থেকে হিমায়িত ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিনে এনে বাড়িতে দু’মিনিটে তেলে ভেজে দেন কেউ কেউ। সেই গুলি কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। বাড়িতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাতে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দোকানের মতো মুচমুচে হয় না। আলুভাজার মতোই কিছু ক্ষণ পর নেতিয়ে পড়ে। তবে কয়েকটি ধাপ মেনে মেনে চললে বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যাবে রেস্তরাঁর মতো মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
১) ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাতে হলে আলু কাটার উপর দক্ষতা থাকতে হবে। আলুগুলি কাটতে হবে একই মাপ করে। এক একটি টুকরো লম্বায় হবে আঙুলের মাপের আর সেগুলি ১/২ ইঞ্চি পুরু হবে।
২) যে কোনও আলু বাছাই করলে ছলবে না। যে আলুতে স্টার্চের পরিমাণ বেশি, তেমন আলু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-এর জন্য উপযুক্ত। শর্করা আর স্টার্চ বেশি আছে এমন আলু দিয়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজলে খেতেও ভাল লাগে। ভেজে রাখার দীর্ঘ ক্ষণ পরেও মুচমুচে থাকে।
৩) ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের আকারে আলু কেটে ১৫ মিনিট ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন। জলে ভিজিয়ে রাখলে আলুতে থাকা স্টার্চ জলে মিশে যায়। সেই জন্য আলু ভেজানো জলে সাদা ফেনা ভেসে থাকে। আসলে সেগুলিই স্টার্চ। জলে থেকে তুলে ভাল করে ধুয়ে আরও ১০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন।
৪) এক সঙ্গে অনেকগুলি আলুর টুকরো একসঙ্গে ভাজলে সেগুলি একে অপরের সঙ্গে লেগে যেতে পারে। ঢিমে আঁচে অল্প অল্প করে আলু ভাজুন।
৫) অনেকেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির এই নিয়মটি জানেন না। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সব সময় দু’বার করে ভাজতে হয়। প্রথমে মাঝারি আঁচে এক বার হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন। ঠান্ডা হয়ে এলে বেশি আঁচে আবার ভেজে নিন। একেবারে রেস্তরাঁর মতোই মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি হবে।