প্লাস্টিক রোধে অভিযান
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট
নির্দেশ অমান্য করে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে কি না ঘুরে দেখছেন
প্রশাসনিক কর্তারা। রামপুরহাটের কামারপট্টি মোড়ে তোলা নিজস্ব চিত্র।
শহরে প্লাস্টিক ব্যবহার রোধ করতে বুধবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট হাটতলা এবং রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে দোকানে অভিযান চালালেন রামপুরহাট মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস এবং ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত রায়। কয়েকমাস আগেই শহরের ব্যবসায়ি সমিতি এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সভাঘরে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন মহকুমাশাসক। সেখানে শহরে নিকাশি ব্যবস্থা, ফুটপাত দখলে যানজট, রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড সংস্কার নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ-সহ প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধ নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে রামপুরহাট মহকুমাশাসক জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে কোনও প্রকারে শহরে ৪০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। এবং প্লাস্টিক ব্যবসায়িদের সতর্ক করে দেন তীনী। বুধবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মহকুমা শাসক বলেন, “প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধে শহরে পুরসভার তরফ থেকে মাইকিং করা হয়। এবং লিফলেট বিলি-সহ মোড়ে মোড়ে প্লাস্টিক দূষণের বিষয়ে প্রচার করা হয়। এতে প্রথম ধাপে প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞায় অনেকে প্লাস্টিক কাপ ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কেউ কেউ এখনও নিষেধাজ্ঞা মানছে না। সেই জন্য বুধবার অভিযান চালানো হয়েছে।” অন্য দিকে এ দিনই শহরের রাস্তায় জবর দখল করে রাখা ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধেও এসডিও অভিযান চালাতে গিয়ে রামপুরহাট কামারপট্টি এলাকা এবং ভাঁড়শালামোড় এলাকা থেকে কাঠের চৌকি, মুরগির খাঁচা, জামাকাপড় আটক করেন। পাশাপাশি শহরের রাস্তায় ওয়ান ওয়ে নিয়ম ভঙ্গ করে শহরে প্রবেশ করায় একটি কেরোসিন ভর্তি লরি আটক করেন। বিয়ে রুখল প্রশাসন। এক নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন। বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের মটগোদা গ্রামের ঘটনা। বুধবার রাতে রাইপুর ব্লকের সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক বা সিডিপিও সিমসন মুর্মু পুলিশ নিয়ে গিয়ে ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেন। বৃহস্পতিবার মটগোদা গ্রামে ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
বাঁচল হাসপাতালের প্রাচীন রবার গাছ
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তৎপরতায় প্রাণ ফির পেল বহু প্রাচীন একটি রবার গাছ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুরঘাট হাসপাতালের ঘটনা। হাসপাতাল চত্বরের উদ্যানকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে বালুরঘাট পুরসভা। ওই উদ্যোগে হাসপাতালের উদ্যানে অবস্থিত প্রাচীন আমলের রবার গাছটির ডালপালা ছাঁটা শুরু হয়েছিল। সেই খবর পেয়ে শহরের দিশারী সঙ্কল্প নামে পরিবেশপ্রেমী সংস্থার কর্ণধার তুহিনশুভ্র মণ্ডল প্রতিবাদ জানান। চিকিৎসকদের একাংশও তাতে সমর্থন জানান। এরপর বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তুহিনশুভ্রবাবু। নড়েচড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গাছটি কাটা হবে না বলে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।