জলদাপাড়ার বনপথ দিয়ে ফের চলাচল শুরু
গ্রামবাসীর সঙ্গে বন দফতরের আপাতত সমঝোতা হল জলদাপাড়ায়। শুক্রবার বিকেলে জলদাপাড়ায় আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়ের উপস্থিতিতে ওই বৈঠক হয়েছে। সেখানে ঠিক হয়েছে, জলদাপাড়ার যে পথ দিয়ে শালকুমারের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৫ হাজার বাসিন্দা মাদারিহাট, বীরপাড়ায় যাতায়াত করতেন, তাঁরা ফের তা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে গ্রামবাসীদের পরিচয়পত্র ও যাতায়াতের জন্য দশ টাকার টিকিট কিনতে হবে। যাতায়াতের সমস্যা মিটলেও সম্প্রতি বনবাংলোয় আগুন, রেঞ্জ অফিস ভাঙচুর ও বন অফিসারদের মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের কেউ গ্রেফতার না-হওয়ায় এলাকাতেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। বন দফতরের অফিসারদের একাংশ তো বটেই, অনেক বাসিন্দাও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চান। তাঁদের সকলেরই বক্তব্য, ওই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে যদি কেউ ধরা না পড়ে তা হলে আগামী দিনে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।” দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “যা ঘটেছে তা কলঙ্কজনক। তবে এফআইআরে কারও নাম থাকলেও তিনি প্রকৃত দোষী কি না তা খতিয়ে দেখা উচিত। গ্রামের কোনও নিরীহ, নিরপরাধ মানুষ যেন সাজা না পান।” গত ১৯ মার্চ জঙ্গলের পথ ব্যবহার করায় এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ তুলে বহু বাসিন্দা আন্দোলনে নামেন। বন দফতরের দুই রেঞ্জ অফিসে আক্রমণ চালায় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর সহ সেখানকার একটি বন বাংলো পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের সামনেই। ওই ঘটনার জেরে ১৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। বন দফতরের কোচবিহারের ডি এফ ও রাজেন্দ্র জাখর বলেছেন, “তিন মাস বাদে ফের বৈঠক হবে।”
চিতাবাঘের হামলা
গুয়াহাটিতে চিতাবাঘের হানায় জখম ৮ জন। শুক্রবার থেকে একটি চিতাবাঘ উত্তর গুয়াহাটির সিলা বনাঞ্চল থেকে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে। চিতাবাঘ ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় বনবিভাগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় জনতা। কিন্তু এসিএফ নৃপেন কলিতা জানান, কাল পশু চিকিৎসক ও বনকর্মীরা চিতাবাঘটিকে ধরার চেষ্টা চালালেও উত্তেজিত জনতার দৌরাত্ম্যে তা সম্ভব হয়নি।
মাছরাঙা। শনিবার সুন্দরবনে নির্মল বসুর তোলা ছবি।
সাইবেরিয়ার বার্নাউলের চিড়িয়াখানায় ওয়ালাবি। ছবি: রয়টার্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy