ঝুলন গোস্বামী
আইপিএলের প্লে-অফের আগে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জার প্রতিযোগিতা গত বারই আয়োজন করেছিল ভারতীয় বোর্ড। তিনটি দলে ভাগ করে খেলেছিলেন, ঝুলন গোস্বামী, মিতালি রাজ, দীপ্তি শর্মারা। মেয়েদের ক্রিকেটের কিংবদন্তি ঝুলন চান, ছেলেদের আইপিএলের মতোই হোক মেয়েদের আইপিএল। তার ফলে উপকৃত হবে মহিলা ক্রিকেট। উঠে আসবে বহু নতুন প্রতিভা।
একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটের চ্যাট শো-এ এসে ঝুলন বলেছেন, ‘‘মেয়েদের পূর্ণ আইপিএলের জন্য প্রত্যেকেই অপেক্ষা করছি। আমাদের আইপিএল হলে দেশের ক্রিকেট আরও উন্নতি করবে। কত নতুন প্রতিভা উঠে আসবে। তরুণ ক্রিকেটারেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। কত কিছু শিখতে পারবে।’’
২০১৭ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালের সেই হার এখনও মেনে নিতে পারেননি ঝুলন। কিংবদন্তি পেসারের মত, শেষ দশ ওভারে চাপ সামলাতে পারেনি ভারত। ঝুলন বলেছেন, ‘‘লর্ডসের দর্শকঠাসা গ্যালারির মধ্যে খেলার অনুভূতি একেবারে অন্য রকম। ভারতের প্রচুর সমর্থক এসেছিলেন সে দিন মাঠে।’’ যোগ করেন, ‘‘সারা ম্যাচে আমরা ভাল খেলেছি। বলা যায় ৯০ ওভার দাপটের সঙ্গে খেলেছি। কিন্তু শেষ দশ ওভারে বিপক্ষ বোলাররা যে চাপ তৈরি করেছিল, তা সামলাতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। সেটাই ফাইনালে হারের কারণ।’’
যদিও বিশ্বকাপের ফাইনাল যাত্রায় খুশি ঝুলন। কৃতিত্ব দিলেন সম্মিলীত প্রয়াসকে। কিংবদন্তির কথায়, ‘‘দলীয় সংহতি ও বোঝাড়ার জন্য এত দূর পর্যন্ত যেতে পেরেছি। প্রত্যেকের সমান অবদান ছিল। স্মৃতি, শিখা, দীপ্তি, মিতালি, হরমনপ্রীত। কাকে ছেড়ে কার নাম বলব। অসাধারণ অভিজ্ঞতা বলা যেতে পারে।’’
ঝুলনের বয়স এখন ৩৭। এই বয়সেও মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে খেলে যাওয়া কতটা কঠিন? ঝুলনের উত্তর, ‘‘বয়সটা কোনও বিষয় নয়। ফিট থাকলে সব ঠিক থাকবে। আমি কখনও ট্রেনিংয়ে ফাঁকি দিই না। সবাইকে অনুরোধ করব, তোমরাও ট্রেনিংয়ে ফাঁকি দিয়ো না। আসল উন্নতি হবে ফিট থাকলেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy