আক্রমণাত্মক সচিন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ছবি: পিটিআই।
সচিন তেন্ডুলকরের ব্যাটে সেঞ্চুরি দেখতে চেয়েছিলেন, এমনই চমকপ্রদ দাবি করলেন শোয়েব আখতার। আর সেটাও ২০০৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে বিশ্বকাপের গ্রুপ ম্যাচে!
ওয়াকার ইউনিসের পাকিস্তান সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ২৭৩ তুলেছিল। সঈদ আনোয়ারের সেঞ্চুরি বড় ভূমিকা নিয়েছিল নেপথ্যে। জবাবে সচিনের ৯৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারতের। রাহুল দ্রাবিড়, মহম্মদ কাইফ ও যুবরাজ সিংহের ইনিংসও জয়ে অবদান রেখেছিল।
সেই ম্যাচে শতরানের দোরগোড়া থেকে সচিনকে ফিরিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস যদিও দাবি করছেন, সচিনকে আউট করে তিনি দুঃখই পেয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লাইভ সেশনে প্রাক্তন পাক পেসার বলেছেন, “৯৮ রানে সচিন ফেরায় বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলাম। ওটা ছিল স্পেশাল ইনিংস। সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল ওর। আমিও চেয়েছিলাম সচিন যেন শতরান করে। যে বাউন্সারে ও আউট হয়েছিল, তাতে আগের মতো সচিনকে ছয় মারতে দেখলেই খুশি হতাম।”
আরও পড়ুন: রায়ুডুর বদলে কোন যুক্তিতে বিজয় শঙ্কর? প্রাক্তন নির্বাচক প্রধানের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে গম্ভীর
আরও পড়ুন: ধারাভাষ্য দেওয়ার আহ্বান, কিন্তু যুবরাজের পছন্দ...
সেই ইনিংস এক দিনের ক্রিকেটে সচিনের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা হিসেবে চিহ্নিত হয়। শোয়েবের বাউন্সারে ইউনিস খানকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সচিন। ৭৫ বলের ইনিংসে ছিল এক ডজন বাউন্ডারি ও একটি ছয়। প্রধানত মুম্বইকরের দাপটেই ২৬ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে আসে জয়। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সচিনের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এসেছিল ২০১১ সেমিফাইনালে। সচিনের জন্যই ফাইনালে উঠেছিল ভারত। আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নও হয়। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত থেকেছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy