বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল উমর আকমলের বিরুদ্ধে। ছবি: এএফপি।
উমর আকমলের বিরুদ্ধে এ বার গুরুতর অভিযোগ আনলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জুলকারনাইন হায়দর। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের সময় ম্যাচ হারায় সাহায্য না করার জন্য তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন উমর, দাবি করেলেন হায়দর।
হায়দারের দাবি, ওই সিরিজের তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ইচ্ছাকৃত ভাবে খারাপ খেলার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই কারণেই তাঁকে হুমকি দেন সতীর্থ উমর ও আরও অনেকে। মারাত্মক চাপের মধ্যে তিনি দুবাইয়ে টিম হোটেল ছাড়তে বাধ্য হন। গোপনে চলে যান লন্ডনে। ওই ঘটনার পরই ২০১০ সালের নভেম্বরে দাঁড়ি পড়ে হায়দরের কেরিয়ারে। যদিও প্রতিশ্রুতিবান বলেই চিহ্নিত হচ্ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘এঁদের খেলতে সমস্যায় পড়তাম’, রোহিতের মুখে প্রোটিয়া ও অজি পেসারের নাম
আরও পড়ুন: রোহিতের সাফল্যের পিছনে অবদান ধোনির, দাবি গৌতম গম্ভীরের
হায়দরের আরও দাবি, “মনে আছে উমর আকমলকে নিজের কাজটা করতে বলেছিলাম। কিন্তু পরে ও এবং আরও কয়েক জন সরাসরি আমায় হুমকি দিতে থাকে। এতটাই জ্বালাতন করতে থাকে যে, আমি মানসিক ভাবে চাপে পড়ে যাই। ভয়ও পেতে থাকি। ফলে কাউকে না জানিয়ে লন্ডনে চলে যাই।”
২০১০ সালে বার্মিংহ্যামে টেস্টই তাঁর কেরিয়ারের একমাত্র টেস্ট। কামরান আকমলের জায়গায় উইকেটকিপার হিসেবে ওই টেস্টে খেলেছিলেন তিনি। যাতে ৮৮ রানও করেছিলেন। উমর যে তাঁকে খারাপ খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন হায়দর। তাঁর কথায়, “আমাকে যে ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, যে ভাবে চাপে ফেলা হচ্ছিল, তা আমি আর সহ্য করতে পারিনি। ফলে, পালিয়ে আসি। খারাপ খেলার জন্য অজানা লোকেদের থেকেও হুমকি পাচ্ছিলাম।”
প্রতিশ্রুতিবান হয়েও ক্রমশ হারিয়ে যান হায়দর। ছবি: পিটিআই।
৩৫ বছর বয়সি হায়দরের মতে, তিন বছরের নির্বাসন মোটেই যথেষ্ট নয় উমরের পক্ষে। তাঁর দাবি, “ও অনৈতিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত। চিরনির্বাসিত করা উচিত উমরকে। ওর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা উচিত।”
২০১১ সালে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিকের থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়ে লাহৌরে ফিরেছিলেন হায়দর। কিন্তু তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার আর কখনও প্রতিষ্ঠা পায়নি। পাকিস্তানের সেই দলের ম্যানেজার ইন্তিখাব আলম তাঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, দুবাই থেকে লুকিয়ে লন্ডনে ফিরে ভীত-সন্ত্রস্ত হায়দার মানসিক চিকিৎসালয় খুঁজেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy