প্রতীকী ছবি।
আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল করল অস্ট্রেলিয়া। নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে ছড়ানোয় সতর্কতা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। স্বাস্থ্য দফতর থেকেও টিম পেনদের দক্ষিণ আফ্রিকায় না পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের তরফে প্রধান কর্তা গ্রেম স্মিথ হতাশা প্রকাশ করেছেন এই সিদ্ধান্তে।
জাস্টিন ল্যাঙ্গারের দলের তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল আসন্ন সফরে। গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া দলও ঘোষণা করা হয় এবং এ’মাসেই পেনদের রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হঠাৎই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। তার কারণও আছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। আগের থেকে যা অনেক বেশি মাত্রায় মানুষকে সংক্রমিত করছে। নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৪৪ হাজারেরও বেশি। একটি সমীক্ষা বলছে, বিশ্বের কোনও দেশে এত মানুষ আক্রান্ত হননি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধান নিক হকলি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রকই তাঁদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ‘‘এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করাটা অসম্ভব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেত। ঝুঁকিটা ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, সমাজ— সকলের,’’ বলেছেন হকলি। যোগ করেছেন, ‘‘একেবারেই হাল্কা ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে হঠাৎই আন্তর্জাতিক সূচিতে ছেদ পড়ায় আমরা হতাশ। অবশ্য অতিমারি শুরুর সময় থেকেই নিরাপত্তার ব্যাপারটাকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। তাই দক্ষিণ আফ্রিকাতেও কোভিড সুরক্ষা বিধি মেনে সিরিজ খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে দেখা গেল, এই মুহূর্তে সেখানে খেলাটা অত্যন্ত ঝুঁকির ব্যাপার
হয়ে যাবে।’’
সম্প্রতি ইংল্যান্ডও করোনা আতঙ্কে ওয়ান ডে সিরিজ চলাকালীনই মাঝপথে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল করে দেশে ফিরে গিয়েছিল। তবে করোনার কারণে অস্ট্রেলিয়ার সফল বাতিলের সিদ্ধান্তে বিরক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর গ্রেম স্মিথ। তিনি বলেছেন, ‘‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তে আমরা রীতিমতো হতাশ। গত কয়েক সপ্তাহে করোনাবিধি মেনে ক্রিকেটারদের সুরক্ষিত রেখে সিরিজ আয়োজনের সমস্ত ব্যবস্থাইকরা হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy