Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
ICC ODI World Cup 2023

এ বার বোর্ড প্রধান বিন্নীকে নোটিস কলকাতা পুলিশের, টিকিটের কালোবাজারির তদন্তে তথ্য তলব

টিকিট বিক্রি সংস্থার প্রতিনিধি এবং সিএবি কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। এ বার বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে প্রাসঙ্গিক নথি এবং তথ্য চাইল কলকাতা পুলিশ।

picture of Roger Binny

রজার বিন্নী। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৪৩
Share: Save:

বিশ্বকাপ টিকিটের কালোবাজারির তদন্তে কলকাতা পুলিশ এ বার নোটিস পাঠাল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি রজার বিন্নীকে। অনলাইনে টিকিট বিক্রিকারী সংস্থা এবং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (সিএবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার পর বিসিসিআইয়ের কাছে প্রয়োজনীয় নথি চাওয়া হয়েছে।

বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক নথি এবং তথ্য জমা দিতে হবে কলকাতা পুলিশের ময়দান থানায় তদন্তকারী অফিসারের কাছে। আগামী ৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) কাজের সময়ের নথি পাঠাতে বলা হয়েছে বিসিসিআইকে। সংস্থার সভাপতি রজার অথবা অন্য কোনও উপযুক্ত ব্যক্তিকে টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক নথি এবং তথ্য নিয়ে ময়দান থানায় উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় নোটিস পাঠানো হয়েছে বিসিসিআইকে।

কলকাতায় ম্যাচের টিকিট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের অভিযোগ, অনলাইনে যে সংস্থা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির টিকিট বিক্রি করছে তাদের পাশাপাশি, সিএবি এবং বিসিসিআই কর্তারা টিকিট সরিয়ে দিয়েছেন। সেই টিকিট কালোবাজারে চলে গিয়েছে। ময়দান এবং এন্টালি, কলকাতা পুলিশের এই দুই থানায় মোট সাতটি এফআইআর করেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।

এফআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে কালোবাজারির অভিযোগে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ১২৭টি টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ময়দান থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা সংস্থার প্রতিনিধিদের। গত শুক্রবার ময়দান থানায় যান অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা সংস্থার প্রতিনিধিরা। শনিবার গিয়েছিলেন সিএবির দুই কর্তা। সিএবি কর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও টিকিট বিক্রি করছেন না। একটি সংস্থার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করছে বিসিসিআই।

উদ্ধার হওয়া টিকিটগুলি কোথা থেকে এসেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ধৃতেরা নেহাতই এই কালোবাজারি চক্রের দালাল। এর পিছনে কোনও সংগঠিত চক্র থাকতে পারে। বিশ্বকাপের টিকিট কী ভাবে কালোবাজারে চলে যাচ্ছে, তা জানতেই এ বার নোটিস পাঠানো হয়েছে বিসিসিআইকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE