আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ২০২৩ সালের আইপিএলের সূচি প্রকাশ করতে পারে বিসিসিআই। ছবি: টুইটার।
আগামী বছর ৭ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত হতে পারে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। তার আগে আগামী মরসুমে আইপিএল শেষ করতে চাইছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তাই মার্চের শেষে আইপিএল শুরুর পরিকল্পনা করেছেন বিসিসিআই কর্তারা।
প্রথম ম্যাচ হবে আমদাবাদে।
আইসিসি এখনও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের সূচি ঘোষণা করেনি। প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী ৭ জুন থেকে এই টেস্ট শুরু হতে পারে। এক দিন অতিরিক্ত হিসাবে থাকতে পারে বৃষ্টির সম্ভাবনার জন্য। তার আগে আইপিএল শেষ করতে চায় বিসিসিআই। ৩১ মার্চ অথবা ১ এপ্রিল আইপিএল শুরু হতে পারে। প্রতিযোগিতার ফাইনালের জন্য প্রাথমিক ভাবে দু’টি দিন ঠিক করেছেন বিসিসিআই কর্তারা। ২৮ মে অথবা ৪ জুন হতে পারে আইপিএল ফাইনাল। যে হেতু ৭ জুন থেকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু, সেটাই ভাবাচ্ছে বিসিসিআই কর্তাদের। যে দু’টি দেশ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে, সেই দু’দেশের ক্রিকেটারদের হয়তো আইপিএলের শেষ দিকে পাওয়া যাবে না। ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে উঠলে প্রস্তুতি নেওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ পাবেন না রোহিত শর্মারা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভারত এখন রয়েছে চতুর্থ স্থানে। রোহিতদের আগে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে ভারত আরও ছ’টি টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। চলতি ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দু’টি এবং আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চারটি। প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ় খেলবেন রোহিতরা। তাই ভারতের ফাইনালে পৌঁছানোর ভাল সুযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, দু’টি সিরিজ় জিতলে ভারত দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবে। সে ক্ষেত্রে ওভালের ফাইনালে দেখা যাবে রোহিতদের।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ়ের পর তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ় খেলবে ভারত। দু’দেশের শেষ এক দিনের ম্যাচটি হবে ২২ মার্চ। সেই অর্থে আইপিএলের জন্য সময় থাকছে আড়াই মাস। ক্রিকেটারদের বিশ্রামের কথাও ভাবতে হচ্ছে বিসিসিআই কর্তাদের। টানা ক্রিকেটের চাপে পারফরম্যান্স খারাপ হলে বোর্ডের পরিকল্পনা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। তাই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের চূড়ান্ত সূচি দেখে আইপিএলের সূচি প্রকাশের পরিকল্পনা নিয়েছেন বিসিসিআই কর্তারা। তাতেও অবশ্য গায়ে গায়ে ম্যাচ খেলার ধকল এড়াতে পারবেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy