রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আইপিএলের নিয়মরক্ষার ম্যাচেও রান পেলেন না চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম সারির ব্যাটারেরা। ওপেনার আয়ুষ মাত্রে কিছুটা চেষ্টা করলেও সতীর্থদের সহযোগিতা পেলেন না। ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের ৪২ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৮৭ রান তুলল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল।
প্লে-অফে ওঠার আশা শেষ হয়ে যাওয়ার পরই ধোনি বলেছিলেন, তাঁরা এখন আগামী মরসুম নিয়ে ভাবছেন। মঙ্গলবার সঞ্জু স্যামসনদের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেও মাহি জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বছর দল যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছেন। এ বারের আইপিএল নিয়ে যে চেন্নাই শিবিরে আর কোনও আগ্রহ অবশিষ্ট নেই, তা বোঝা গেল ম্যাচ শুরু হতেই। দিল্লির ২২ গজেও ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটল চেন্নাইয়ের। ৭৮ রানের মধ্যেই চলে গেল ৫ উইকেট।
৮টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে মাত্রের ২০ বলে ৪৩ রানই চেন্নাইয়ের মুখ রক্ষা করল পাওয়ার প্লে-তে। ডেভন কনওয়ে (১০), উর্ভিল পটেল (শূন্য), রবীন্দ্র জাডেজারা (১) দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। চার নম্বরে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (১৩) নামিয়েও লাভ হল না। চেন্নাইকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিল ডিয়াল্ড ব্রেভিস এবং শিবম দুবের জুটি। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করলেন ৪৯ রান। ব্রেভিসের ব্যাট থেকে এল ২৫ বলে ৪২ রানের ইনিংস। ২টি চার এবং ৩টি ছক্কা মারলেন তিনি। শিবমের ব্যাট থেকে এল ৩২ বলে ৩৯ রান। দু’টি করে চার এবং ছক্কা মারলেন। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বিশেষ সুবিধা করতে পারলেন না অধিনায়ক ধোনিও। শেষ দিকে দ্রুত খুচরো রান নিতে পারলেন না। করলেন ১৭ বলে ১৬ রান।
আরও পড়ুন:
চেন্নাইকে প্রথম ধাক্কা দেন যুধবীর সিংহ। নিজের প্রথম ওভারেই কনওয়ে এবং উর্ভিলকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তিনি। তাঁর এই জোড়া ধাক্কাতেই বেসামাল হয়ে যায় চেন্নাইয়ের ইনিংস। ৪৭ রানে ৩ উইকেট যুধবীরের। আকাশ মাধওয়াল ২৯ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ২৭ রানে ১ উইকেট ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গের। ৩৩ রান খরচ করে ১ উইকেট তুষার পাণ্ডের।