টম লাথাম। —ফাইল ছবি
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ১-১ ফলে শেষ হয়েছে দু’ম্যাচের সিরিজ। আইসিসি-র টেস্ট ক্রমতালিকায় কিউয়িরা নেমে গেছে ষষ্ঠ স্থানে। তাতে অবশ্য চিন্তিত নন নিউজিল্যান্ডের অস্থায়ী অধিনায়ক টম লাথাম। তাঁর বিশ্বাস বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব ধরে রাখতে পারবেন তাঁরা।
২০২১ সালে প্রথম বারই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। লর্ডসের ফাইনালে বিরাট কোহলীর দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসনরা। এ বারও কি তার পুনরাবৃত্তি হবে? ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হেরেছে নিউজিল্যান্ড। তার আগে বাংলাদেশকেও হারাতে পারেনি টেস্ট সিরিজে। কিউয়িদের যেন চেনা ছন্দে দেখাই যাচ্ছে না। কনুইয়ের চোটের জন্য খেলতে পারছেন না অধিনায়ক তথা দলের সেরা ব্যাটার উইলিয়ামসনও।
পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক লাথাম হাল ছাড়তে নারাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দ্বিতীয় টেস্টে ১৯৮ রানে হারার পর তিনি বলেছেন, ‘‘অবশ্যই আমরা প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ জেতার লক্ষ্য নিয়েই খেলি। বিশেষ করে ঘরের মাঠে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘কয়েক মাস আগে আমরা যখন ইংল্যান্ড সফরে যাই তখন আমাদের প্রধান লক্ষ্যই ছিল ওই সিরিজটা। নিজেদের সেরাটা দিয়ে সিরিজ জিততে চেয়েছিলাম। ওই সিরিজ জিতে প্রচুর পয়েন্ট পাই আমরা।’’
১৯৩১-৩২ মরসুমের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কোনও টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। সদ্য শেষ হওয়া সিরিজেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লাথামরা। পারলে ৯০ বছরের খরা কাটাতে পারতেন লাথামরা। দলে উইলিয়ামসনের অভাব ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় সতীর্থদের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন অস্থায়ী অধিনায়ক। দলের ব্যাটাররা খারাপ শট খেলে সাজঘরে ফিরেছে, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি। লাথাম বলেছেন, ‘‘সকলের খেলার নিজস্ব ধরন থাকে। সে ভাবেই সবাই খেলতে পছন্দ করে। মনে হয় প্রতিপক্ষের ফিল্ডারদের খানিকটা চাপে ফেলতে পারলে আমরা ভারসাম্য আনতে পারতাম। ওদের নিজেদের জায়গা থেকে একটু সরিয়ে দেওয়া যেত। হতাশজনক হলেও আমরা তা করতে পারিনি। কিছুই আমাদের পক্ষে আসেনি।’’
লাথামের আশা পরবর্তী টেস্ট সিরিজগুলোয় তাঁরা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সেরাটা দিতে পারবেন। ক্রমতালিকায় নিজেদের অবস্থান উন্নত করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy