চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া সফরে ঋষভ পন্থকে ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলেছিলেন সুনীল গাওস্কর। পন্থের আউট হওয়ার ধরনে খুশি হতে পারেননি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার। পরে ইংল্যান্ড সফরে অবশ্য তা বদলে যায়। পন্থের খেলা দেখে ‘সুপার্ব, সুপার্ব, সুপার্ব’ বলতে বাধ্য হন তিনি। তবে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ়ের তৃতীয় টেস্টে লর্ডসে আবার সেই কথা শোনা গেল গাওস্করের মুখে। এ বার কাকে সে কথা বললেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার?
এ বার অবশ্য কোনও ক্রিকেটার গাওস্করের নিশানায় ছিলেন না। এ বার তিনি নিজেকেই বোকা বলেছেন। তার কারণও রয়েছে। লর্ডসে তৃতীয় দিন চা বিরতির সময় সঞ্চালক সঞ্জনা গণেশনের সঙ্গে কথা বলছিলেন গাওস্কর। বিরতির কিছু ক্ষণ আগে বেন স্টোকসের একটা বল নীতীশ রেড্ডির হেলমেটে লাগে। সেই বিষয়েই কথা হচ্ছিল দু’জনের মধ্যে। সঞ্জনা গাওস্করকে তাঁর খেলার সময়ের কথা জিজ্ঞাসা করেন। কী ভাবে বিনা হেলমেটে গাওস্কর ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পেসারদের সামলেছেন সেই অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চান তিনি।
গাওস্কর জানান, তিনি প্রথমের দিকে খালি মাথায় খেললেও কেরিয়ারের শেষ দিকে একটা হেডগিয়ার (কপাল ঢাকার আবরণ) পরতেন। তিনি বলেন, “শুরুর দিকে তো কিছুই পরতাম না। বলের দিকে নজর রাখতাম। বাউন্সার দিলে ঝুঁকে পড়তাম। তবে শেষ কয়েক বছর একটা হেডগিয়ার পরতাম। মাইক ব্রিয়ারলিকে কাউন্টি ক্রিকেটে পরতে দেখেছিলাম। ওকে দেখেই বানিয়েছিলাম। তাতে মাথা কিছুটা হলেও বাঁচত।” হেডগিয়ার পরায় ম্যালকম মার্শালের একটা বল থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। গাওস্কর বলেন, “মার্শালের একটা বাউন্সার সোজা আমার কপালে লাগে। ব্যাট সরালেও মাথা সরাতে পারিনি। ভাগ্যিস হেডগিয়ার ছিল। নইলে এখানে বসে থাকতে পারতাম না।”
আরও পড়ুন:
তবে সেই হেডগিয়ারও সারা ক্ষণ পরতেন না গাওস্কর। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, “নতুন বল খেলার সময় হেডগিয়ার পরতাম। বল একটু পুরনো হলে খুলে রাখতাম।” তা শুনে সঞ্জনা বলেন, “আপনি খুব সাহসী ছিলেন।” জবাবে গাওস্কর বলেন, “কিংবা হয়তো স্টুপিড ছিলাম। স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড।” এ কথা বলে নিজের কপালের দিকে হাত দিয়ে দেখান তিনি। গাওস্করের কথা শুনে হেসে ফেলেন সঞ্জনা। সেখানে বসে থাকা মাইকেল ভনও হেসে ফেলেন।