চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক পাকিস্তানের কোনও প্রতিনিধি কেন মঞ্চে ছিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শোয়েব আখতারের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারও এই ঘটনায় বিস্মিত। বিতর্ক তৈরি হওয়ায় ব্যাখ্যা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
রীতি অনুযায়ী মঞ্চে থাকা উচিত ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কোনও কর্তার। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রজার বিন্নী এবং সচিব দেবজিৎ শইকীয়া থাকলেও পাকিস্তানের কোনও ক্রিকেট কর্তা ছিলেন না। ছিলেন আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহও। অর্থাৎ, মঞ্চের তিন প্রধান অতিথিই ভারতীয় ছিলেন। বিতর্কের মুখে আইসিসির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি রবিবার দুবাইয়ে আসতে পারেননি। তাঁকে পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী শুধু বোর্ড কর্তারাই পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে থাকতে পারেন। পিসিবির অন্য কোনও কর্তাও ছিলেন না। পাকিস্তানই প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক। পিসিবির পক্ষে কারও উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।’’
যদিও জানা গিয়েছে, ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন পিসিবির সিইও সুমাইর আহমেদ। তিনি প্রতিযোগিতার ডিরেক্টরও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সুমাইরই ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি। তবু তাঁকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আইসিসির পক্ষে সমাপ্তি অনুষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তেরা নাকি সুমাইরের উপস্থিতির কথা জানতেন না। আইসিসির এক কর্তা জানিয়েছেন, ভুল বোঝাবুঝি বা যোগাযোগের অভাবের ফলে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
আইসিসির ব্যাখ্যায় অসন্তুষ্ট পিসিবি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পিসিবির এক কর্তা বলেছেন, ‘‘নকভি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী। আগে থেকেই তাঁর অন্য সরকারি সূচি নির্ধারিত ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের জন্য দুবাইয়ে পিসিবির সিইওকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে অবশ্যই মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল।’’ পিসিবির ওই কর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা আইসিসির সভায় এই উপেক্ষার জবাব চাইবেন। কেন আয়োজক পিসিবির সিইওকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তার যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা চান পাক ক্রিকেট কর্তারা।