ভারতীয় ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: এক্স।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শুরুটা খুব ভাল করেছিলেন ভারতীয় বোলারেরা। প্রথম ৪০ ওভার নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন তাঁরা। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে খেলায় ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ১০ ওভারে ৮১ রান হল। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হল ৭ উইকেটে ২৪৪ রানে। অর্থাৎ, ছোটদের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে ভারতের দরকার ২৪৫ রান।
চলতি বিশ্বকাপে এই প্রথম বার শুরুতে বল করল ভারত। বোলিংয়ের শুরুটা ভালই করেছিল তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটার স্টিভ স্টোক বেশি রান করতে পারেননি। ১৪ রানে আউট হন তিনি। ডেভিড টিগার শূন্য রানে আউট হন। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস সামলান লুয়ান দ্রে প্রিটোরিয়াস ও রিচার্ড সেলেৎসোয়ানে। দু’জনে মিলে ধরে ধরে রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
ভারতীয় স্পিনারদের সামনে হাত খুলে মারতে পারছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা। বিশেষ করে সেলেৎসোয়ানে খুব ধীরে খেলছিলেন। ১০ রান করতেই ৪০ বল লাগে তাঁর। প্রিটোরিয়াস অর্ধশতরান করার পরে একটু হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন। দেখাদেখি কয়েকটি বড় শট মারেন সেলেৎসোয়ানেও। কিন্তু বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ৭৬ রানের মাথায় আউট হন প্রিটোরিয়াস। সেলেৎসোয়ানে ১০০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন।
৪০ ওভারের পর মনে হচ্ছিল, মেরেকেটে ২০০ রান পার হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু শেষ দিকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলল তারা। বিশেষ করে ভারতের পেসারদের বিরুদ্ধে এল বড় শট। অলিভিয়ের হোয়াইটহেড ২২ রান করেন। অধিনায়ক জুয়ান জেমস ১৯ বলে ২৪ ও ট্রিস্টান লুস ১২ বলে ২৩ রান করেন। রাজ লিম্বানি ৩ উইকেট নিলেও ৬০ রান দেন। আর এক পেসার নমন তিওয়ারি ১ উইকেট নিয়ে ৫২ রান দেন।
শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বারের বিশ্বকাপে মাত্র এক বারই ২৪০ রানের বেশি তাড়া করে জিতেছে কোনও দল। ফলে ২৪৫ রান তাড়া করা সহজ হবে না ভারতের পক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy