জয়ের পর অশ্বিন, শ্রেয়সকে অভিনন্দন কোচ দ্রাবিড় এবং ব্যাটিং কোচ রাঠৌরের। ছবি: টুইটার।
প্রায় হারের মুখে পৌঁছে গিয়েও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে জয় তুলেন নিয়েছে ভারত। মীরপুরে রুদ্ধশ্বাস জয়ের জন্য ভারতীয় দলের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল কৃতিত্ব দিলেন শ্রেয়স আয়ার এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। ম্যাচের পর তিনি বলেন, সতীর্থদের উপর আস্থা ছিল তাঁর।
রাহুল মেনে নিয়েছেন রবিবার সকালে পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তিনি বলেছেন, ‘‘সতীর্থদের উপর আস্থা ছিল। জানি চাপ ছিল। তাও বিশ্বাস হারায়নি আমরা। আমরা সকলেই মানুষ। যারা লড়াই করছে, তাদের উপর আস্থা তো রাখতেই হবে। শ্রেয়স আর অশ্বিন জয়টাকে সহজ করে তুলল নিজেদের মতো ব্যাটিং করে। আমাদের দলকে দারুণ একটা জয় এনে দিল ওরা।’’
বাংলাদেশকে সহজ ভাবে নেওয়ার জন্যই কি এমন কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হল? রাহুল মানতে চাননি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা কখনও ভাবিনি খুব সহজ হবে লড়াই। জানতাম রান তোলার জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যেমন বাংলাদেশকেও করতে হয়েছিল। এই উইকেটে নতুন বলে বল করা বেশ কঠিন। নতুন বলেই আমরা বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছি। যদিও এমন কিছু আমরা চাইনি। আমরা কিছু ভুল করেছি। এটা আমাদের কাছে শিক্ষা। আশা করি এমন পরিস্থিতিতে এই শিক্ষা আমাদের আগামী দিনে আরও ভাল পারফরম্যান্স করতে সাহায্য করবে।’’
দলের ব্যাটিং রাহুলকে খুশি করতে না পারলেও বোলিং নিয়ে খুশি তিনি। বলেছেন, ‘‘গত ছায়-সাত বছর ধরেই আমাদের বোলিং গভীরতা বেশ ভাল। আমাদের হাতে যথেষ্ট বৈচিত্র রয়েছে। আমাদের জোরে বোলিং আক্রমণ কতটা ভাল, তা এই সিরিজ়ের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। অশ্বিন এবং অক্ষর পটেলও বেশ ভাল পারফরম্যান্স করেছে। জয়দেব উনাদকাট অনেক দিন বাদে টেস্ট খেলল। ওর পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভাল। ওর আরও বেশি উইকেট পাওয়া উচিত ছিল। উমেশ যাদবও বেশ ভাল বল করেছে। জোরে বোলারদের তৈরি করে দেওয়ার চাপ দারুণ কাজে লাগিয়েছে আমাদের স্পিনাররা।’’
রবিবার সকালে বাংলাদেশের বোলাররা অবশ্য ভারতীয় শিবিরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। পর পর সাজঘরে ফিরে যান জয়দেব উনদকাট (১৩), ঋষভ পন্থ (৯) এবং অক্ষর পটেল (৩৪)। ৭৪ রানে ভারতের ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর চাপের মুখে ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন শ্রেয়স এবং অশ্বিন। তাঁদের দায়িত্বশীল ইনিংসেই মীরপুর টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy