সুস্থ হয়ে পন্থ আবার কবে মাঠে নামতে পারবেন তা নিশ্চিত নয়। আরও একটি অস্ত্রোপচার হবে তাঁর। —ফাইল চিত্র
চলতি বছর মাঠের বাইরেই কাটাতে হতে পারে ঋষভ পন্থকে। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ইতিমধ্যেই দু’বার অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর শরীরে। তাতেও চোট পুরো সারেনি। ক্রীড়া ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’ জানিয়েছে, আরও এক বার অস্ত্রোপচার হবে পন্থের। তাই মাঠে নামতে দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটারকে।
প্রথমে ডান পায়ের হাঁটু ও তার পরে ডান পায়ের গোড়ালির লিগামেন্টে অস্ত্রোপচার হয়েছিল পন্থের। মুম্বইয়েই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ক্রীড়া অস্থি বিশেষজ্ঞ দিনেশ পরদিওয়ালার নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার হয়েছে পন্থের। তরুণ ক্রিকেটার এখন কোকিলাবেন ধীরুভাই অম্বানি হাসপাতালের ক্রীড়া বিজ্ঞান এবং সুস্থতা বিভাগের প্রধান বৈভব দাগার চিকিৎসাধীন। ছ’সপ্তাহ পরে ডান পায়ে আরও একটি অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা পন্থের।
এই তিনটি অস্ত্রোপচারের ফলে আগামী আট থেকে ন’মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে পন্থকে। ফলে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ পর্যন্ত খেলার সম্ভাবনা নেই তাঁর। অক্টোবর-নভেম্বরে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলাও অনিশ্চিত ভারতীয় ক্রিকেটারের। কারণ, সুস্থ হলেও ম্যাচ ফিট হতে আরও সময় লাগবে পন্থের। তাই এই বছরে তাঁর খেলার সম্ভাবনা মাঠে মারা গেল বলে আশঙ্কা চিকিৎসকেদের।
চিকিৎসকরা তাঁকে কয়েক দিন পর হাঁটানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। তা পারলে শুরু হবে পন্থের সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া। মুম্বইয়ের হাসপাতালের পক্ষে জানানো হয়েছে, ‘‘হাঁটতে পারলে চিকিৎসকরা পন্থের সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করবেন। প্রথমে ওয়াকারের সাহায্যে হাঁটতে হবে তাঁকে। তার পর কোনও অবলম্বন ছাড়া হাঁটতে পারবেন। তাঁর সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া প্রয়োজন।’’ পন্থের হাঁটুর দু’টি লিগামেন্টই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কিছুটা চিন্তিত চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার সফল হলেও কত দিনে তিনি স্বাভাবিক হাঁটা চলা করতে পারবেন, তা নিয়ে এখনই নিশ্চয়তা দিতে রাজি নন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘পন্থ যতটা যন্ত্রণা সহ্য করতে পারবেন, তার উপর নির্ভর করবে তাঁর সুস্থতা। এক জন উইকেটরক্ষকের দু’টি লিগামেন্টই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া খুবই উদ্বেগজনক। এসিএল হাঁটুর মাঝখানে থাকে। এই লিগমেন্ট থাই বোন এবং সিন বোনকে জুড়ে রাখে। হাঁটুর সংযোগস্থলের স্থিতিশীলতা রক্ষা করে এই লিগামেন্ট। দু’টি লিগামেন্টই ছিঁড়ে যাওয়ার অর্থ আঘাতের মাত্রা অনেক বেশি। সুস্থ হতে যথেষ্ট সময় লাগবে।’’ পন্থের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা বৈভব বলেছেন, ‘‘এসিএল ক্ষতিগ্রস্ত হলে সাধারণ ভাবে ছয় থেকে ন’মাস লাগে সুস্থ হতে। তার পর আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মাঠে ফেরার অনুমতি দিয়ে থাকি। এমসিএল ক্ষতিগ্রস্ত হলে সুস্থ হতে তিন থেকে চার মাস লাগে। অনেকটাই নির্ভর করে অস্ত্রোপচার কেমন হয়েছে, তার উপর। শল্য চিকিৎসকের দক্ষতা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy