ভারতের সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে জানিয়ে দিয়েছেন, এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে পাওয়া যাবে জসপ্রীত বুমরাহকে। অর্থাৎ, দ্বিতীয় টেস্টে হয়তো তিনি বিশ্রাম নেবেন না। তবে ইংল্যান্ড সফরের আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল যে বুমরাহকে তিনটের বেশি টেস্ট খেলানো যাবে না। কোন কোন টেস্টে তিনি খেলবেন তা এখনও জানা যায়নি। তার মধ্যেই খবর, চাইলে তিনটের বেশি টেস্টেও খেলতে পারেন বুমরাহ। তবে তার জন্য একটা শর্ত মানতে হবে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেসাই জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়েই বুমরাহের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড। তিনি বলেন, “বুমরাহ চোটের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়ার পরেই ওকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড। ঠিক করা হয়েছিল যে ইংল্যান্ডে ও তিনটে টেস্ট খেলবে।”
তবে তিনটের বেশি টেস্ট খেলার সম্ভাবনাও রয়েছে ভারতীয় পেসারের। ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বুমরাহকেই। সোহম বলেন, “তিনটের বেশি টেস্ট বুমরাহ খেলবে কি না সেটা সম্পূর্ণ বুমরাহ ও ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। যদি সিরিজ় এমন জায়গায় যায় যে ভারতকে জিততেই হবে, সে ক্ষেত্রে বুমরাহ তিনটের বেশি টেস্টও খেলতে পারে। তবে একটা শর্ত মানতেই হবে। ওর শারীরিক ও মানসিক শক্তি খতিয়ে দেখে তবেই তিনটের বেশি টেস্ট খেলার অনুমতি দেবে মেডিক্যাল দল। নইলে ও খেলতে পারবে না।”
আরও পড়ুন:
২০১৪ সালে প্রথম পিঠের চোট ভুগিয়েছিল বুমরাহকে। সেই সময় থেকে তাঁকে চেনেন সোহম। কেন গত বছর অস্ট্রেলিয়ার গিয়ে বুমরাহ আবার চোট পেয়েছিলেন তার কারণ তিনি জানেন। সোহম বলেন, “২০১৪ সালের পর থেকে টেস্টে বুমরাহকে প্রতি দিন একটা নির্দিষ্ট ওভারের বেশি বল করতে নিষেধ করেছিলেন চিকিৎসকেরা। দরকারে দিনে ৫-৭ ওভার বেশি করা যেতে পারে। তবে প্রতিটা স্পেলের মধ্যে বিশ্রাম দিতে হবে। মেলবোর্নে সেই বিশ্রাম বুমরাহ পায়নি। তাই সিডনিতে ও সামলাতে পারেনি। আবার পিঠে চোট পেয়েছিল।”
হেডিংলেতে প্রথম টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বুমরাহ। দ্বিতীয় টেস্টে তিনি উইকেট না পেলেও তাঁকে সাবধানে খেলেছেন ইংরেজ ব্যাটারেরা। বুমরাহ থাকলে প্রতিপক্ষ চাপে থাকে। হেডিংলেতে হারের পর এজবাস্টনে জয়ে ফিরতে মরিয়া ভারতীয় দল। এই পরিস্থিতিতে বুমরাহ থাকলে শক্তি বাড়বে শুভমন গিলদের। যা খবর, বুমরাহকে হয়তো দেখা যাবে দ্বিতীয় টেস্টে।