বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে ব্যর্থতার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যেগুলির অন্যতম ছিল, বিদেশ সফরে পরিবার নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ। বিরাট কোহলি আগেই বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এ বার সরব হলেন চেতেশ্বর পুজারাও। যদিও সরাসরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করেননি।
ভারতীয় দল থেকে দু’বছর আগে বাদ পড়েছেন পুজারা। অবসর না নিলেও তাঁর কথা আর বিবেচনা করেননি জাতীয় নির্বাচকেরা। আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের দলেও জায়গা হয়নি তাঁর। তবু বিদেশ সফরে পরিবার নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোহলির সুরেই কথা বলেছেন পুজারা। বিসিসিআইয়ের নির্দেশিকা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘লম্বা সফরে পরিবার সঙ্গে থাকা উচিত। খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিবার থাকলে ভাল। একটু স্বস্তিতে থাকতে পারে ক্রিকেটারেরা। অনেক সময় হয়তো গোটা সিরিজ়েই সঙ্গে পরিবার থাকে। পেশাদার ক্রিকেটারদের উপর অনেক চাপ থাকে। ম্যাচ, অনুশীলন। সঙ্গে পরিবার থাকলে একটু ভাল লাগে। চাপমুক্ত থাকা যায়।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘লম্বা সফরে সব দলই সাধারণত দু’-তিন সপ্তাহ সঙ্গে পরিবার রাখতে পারে। ৪০ দিন বাড়ি ছেড়ে থাকতে হলে, পরিবারকে তিন সপ্তাহ সঙ্গে রাখাই যায়। অনেক সময় কোচিং স্টাফেরা মনে করেন, সঙ্গে পরিবার থাকলে মনোঃসংযোগের সমস্যা হয়। ব্যাপারটা তেমন নয়। বরং ক্রিকেটারেরা অনেক হালকা থাকে।’’
বিদেশ সফরে পরিবার নিয়ে যাওয়ার পক্ষে হলেও পুজারা সতর্কও করে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভারসাম্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক মতো পরিকল্পনা করলে সমস্যা হয় না। অনেক সময় সিরিজ় শুরুর কিছুটা আগে দল চলে যায়। প্রস্তুতির জন্য যায়। সে সময়ে পরিবার সঙ্গে না থাকতেই পারে। তাতে প্রস্তুতিতে মনোসংযোগ করতে পারে ক্রিকেটারেরা। কিন্তু সিরিজ় শুরুর পর ২০-২১ দিন পরিবার সঙ্গে থাকলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’ পুজারা এখন ভারতীয় দলের অংশ না হলেও ১০৩টি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই বলেছেন, বিদেশে পরিবার সঙ্গে থাকলে ক্রিকেটারেরা অনেক চাপমুক্ত থাকতে পারেন। মানসিক ভাবে তরতাজা থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন:
গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোহলি ছাড়াও রবীন্দ্র জাডেজা, মহম্মদ শামি পরিবারের সদস্যদের দুবাইয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যেরা দলের সঙ্গে একই হোটেলে ছিলেন না। তাঁদের ব্যক্তিগত খরচে অন্য হোটেলে ছিলেন।