বুধবার ইডেন গার্ডেন্সের পর বৃহস্পতিবার সওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়াম। দু’দিনে দু’টি স্টেডিয়ামে বোমাতঙ্ক। এ দিন সকালে রাজস্থান রাজ্য ক্রীড়া সংসদের কাছে জয়পুরের স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি মেল আসে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থাকা কর্মীদের বার করে আনা হয়েছে। হুমকি মেল নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই মুহূর্তে স্টেডিয়ামে রয়েছে ডগ স্কোয়াড, বম্ব স্কোয়াড এবং জঙ্গিদমন দল। স্টেডিয়ামের প্রতিটি কোনায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিশের দাবি, সকাল ৯.১৩ নাগাদ হুমকি ইমেল পাঠানো হয়েছে। সেখানে লেখা, “অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য উদ্যাপন করতে আমরা আপনাদের স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণ ঘটাব। যদি পারেন সবাইকে বাঁচিয়ে দেখান।” পুলিশ জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান জেকে ওয়েব’ নামে একটি ইমেল আইডি থেকে মেলটি এসেছে।
সূত্রের খবর, সেই সময় স্টেডিয়ামে ছিলেন কয়েক জন কর্মী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বার করে আনা হয়। পুলিশকে হুমকি ইমেলের কথা জানানো হয়। তদন্ত শুরু হয়েছে। জয়পুরের ওই স্টেডিয়ামে খেলে রাজস্থান রয়্যালস। সেখানে আবার তাদের ম্যাচ রয়েছে ১৬ মে।
এই মুহূর্তে গোটা রাজস্থানই কড়া সতর্কতার মধ্যে রয়েছে। পাকিস্তানের সীমান্তঘেঁষা পাঁচটি জেলার সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। রেল এবং পুলিশের সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বুধবার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কেকেআর। ম্যাচ চলাকালীন সিএবি-র ইমেল আইডিতে হুমকি মেল এসেছিল। কোনও অজানা মেল আইডি থেকে এই হুমকি এসেছিল। কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। পুলিশ এবং সিএবি সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল। নির্বিঘ্নেই ম্যাচ শেষ হয়েছিল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে জঙ্গিদের বহু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। পহেলগাঁও-এ জঙ্গিরা ২৬ জন ভারতীয়কে গুলি করে হত্যা করেছিল। তার বদলা হিসাবেই মঙ্গলবার ভারতীয় সেনা জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ করে। সেনার সেই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’।