আগামী আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ডাগআউটে দেখা যাবে না চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে। কেকেআরের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন পণ্ডিত। তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করেছে শাহরুখ খানের দল।
২০২৪ সালে পণ্ডিতের কোচিংয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কেকেআর। গত আইপিএলে অজিঙ্ক রাহানেরা অবশ্য প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি। কোচ পণ্ডিতকে নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিলেন কেকেআর কর্তৃপক্ষের একাংশ। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেকেআর। পণ্ডিতের সঙ্গে নতুন করে আর চুক্তি হচ্ছে না। কেকেআর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দু’পক্ষ সহমতের ভিত্তিতে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের আইপিএল পর্যন্ত চুক্তি ছিল পণ্ডিতের সঙ্গে।
সমাজমাধ্যমে কেকেআর কর্তৃপক্ষ লিখেছেন, ‘‘চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত নতুন কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আর কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচ হিসাবে কাজ করতে চান না। অমূল্য অবদানের জন্য আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁর কোচিয়ে আমরা ২০২৪ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তিনি একটি শক্তিশালী এবং লড়াকু দল তৈরি করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্ব এবং শৃঙ্খলা আমাদের দলকে প্রভাবিত করেছিল। ভবিষ্যতের জন্য আমাদের শুভকামনা থাকল।’’ এই পোস্টের সঙ্গে কেকেআর কর্তৃপক্ষ আরও লিখেছেন, ‘‘চন্দু স্যরকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমরা। এক জন নাইট, সব সময় নাইট। কলকাতা সব সময় আপনার ঘর থাকবে।’’
২০২৩ সালে পণ্ডিতকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দিয়েছিলেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দেশের অন্যতম সফত কোচ পণ্ডিতের উপর আস্থা রেখেছিল শাহরুখের দল। প্রথম বছর আইপিএলের লিগ পর্বে সপ্তম স্থানে শেষ করে কেকেআর। ২০২৪ সালে কেকেআর মেন্টর হিসাবে নিয়ে আসে গৌতম গম্ভীরকে। সাফল্যের মুখ দেখে কেকেআর। তৃতীয় বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। ২০২৫ সালে গম্ভীর ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিয়ে চলে যাওয়ার পর আবার ব্যর্থ কেকেআর। লিগ পর্বে অষ্টম স্থানে শেষ করেন রাহানেরা। ১৪টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জয় পায় কেকেআর। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের বছরই করুণ পারফরম্যান্স পণ্ডিতের উপর আস্থা নষ্ট করে দেয়। আইপিএলের গত পূর্ণাঙ্গ নিলামে পণ্ডিতের মতামত অনুযায়ী দল গঠনও ভুগিয়েছে কেকেআরকে।
আরও পড়ুন:
গত আইপিএলের পরই শোনা গিয়েছিল, পণ্ডিতের সঙ্গে নতুন করে আর চুক্তি না-ও করতে পারেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ। তিন বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার পর কেকেআরের প্রধান কোচের বিদায় এক রকম নিশ্চিতই ছিল। দু’পক্ষ সহমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হল বিচ্ছেদ।