এক দিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে নজির গড়ার ম্যাচে বাংলাদেশকে সুপার ওভারে ১ রানে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। মঙ্গলবার দু’দলের দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচ টাই হয়। সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় করে ১ উইকেটে ১০ রান। জবাবে ১ উইকেটে ৯ রান করায় হেরে গেল বাংলাদেশ। তার আগে নির্ধারিত ৫০ ওভারে দু’দলই করে ২১৩ রান।
মিরপুরের স্পিন সহায়ক পিচের সুবিধা কাজে লাগাতে মঙ্গলবার প্রথম একাদশে এক জনও জোরে বোলারকেও রাখেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। ৫০ ওভারই বল করলেন স্পিনারেরা। আকিল হোসেন, রোস্টন চেজ, খারি পিয়েরে, গুড়াকেশ মোতি এবং অ্যালিক অ্যাথানজ়ে করলেন ১০ ওভার করে। প্রথম একাদশে অলরাউন্ডার জাস্টিন গ্রেভস থাকলেও তাঁকে ব্যবহার করেননি হোপ। এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সদস্য কোনও দেশ এক দিনের ম্যাচের ৫০ ওভারই স্পিনারদের দিয়ে বল করায়নি। তবে এক দিনের ক্রিকেটে নজির তৈরির দিনেও জয় অধরা থাকল সফরকারীদের।
মেহদি হাসান মিরাজদের ৭ উইকেটে ২১৩ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ইনিংস শেষ হল ৯ উইকেটে ২১৩ রানে। প্রথমে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ওপেনার সৌম্য সরকারের ৪৫। ৮৯ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ৩টি চার এবং ১টি ছয়। এ ছাড়া বলার মতো রান অধিনায়ক মিরাজের অপরাজিত ৩২ এবং ন’নম্বরে ব্যাট করতে নামা রিশাদ হোসেনের অপরাজিত ৩৯। ৩টি চার এবং ৩টি ছয়ের সাহায্যে রিশাদের ১৪ বলের আগ্রাসী ইনিংসই বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। চেনা পিচে ধারাবাহিক ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সফলতম বোলার মোতি ৬৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৪১ রানে ২ উইকেট হোসেনের। ১৪ রানে ২ উইকেট অ্যাথানজ়ের।
জয়ের জন্য ২১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্পিন সহায়ক পিচে সমস্যায় পড়েন সফরকারী ব্যাটারেরাও। হোপের অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস জয়ের আশা তৈরি করলেও লাভ হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অন্যেরা প্রত্যাশা মতো সঙ্গ দিতে পারলেন না অধিনায়ককে। বলার মতো রান করেছেন শুধু কেসি কার্টি (৩৫), অ্যাথানজ়ে (২৮) এবং গ্রেভস (২৬)। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ও। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৫ রান। কিন্তু সইফ হাসানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৪ রানের বেশি নিতে পারেননি হোপেরা। হোসেনের উইকেটও হারায় তারা।
আরও পড়ুন:
ব্যাটের মতো বল হাতেও সফল হয়েছেন রিশাদ। তিনি ৪২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৪২ রানে ২ উইকেট তনভির ইসলামের। ৩৮ রানে ২ উইকেট নাসুম আহমেদের।