বাবর আজম। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। পঞ্চম স্থানে শেষ করে সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা। তার পরেই বাবর আজম সব ফরম্যাটের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। সম্প্রতি পাকিস্তান বোর্ডের একটি প্রেস বিবৃতি নিয়ে হইচই হচ্ছে। সেখানে বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গে উত্তর দিলেন দলের মিডিয়া ম্যানেজার।
বিশ্বকাপে ২৩ অক্টোবর আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। সেই হারের পরে ঝামেলা বাধে। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা। সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। পাক বোর্ড পরের দিন, অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর বিবৃতি প্রকাশ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এটাও বলা হয়, বাবরের অধিনায়কত্ব বিশ্বকাপের পর খতিয়ে দেখা হবে। বিশ্বকাপ শেষ হতেই দায়িত্ব ছাড়েন বাবর।
সে প্রসঙ্গে ঠিক এক মাস পরে পাক বোর্ডের মিডিয়া প্রধান আলিয়া রশিদ বলেছেন, “একটা জিনিস পরিষ্কার করে বলতে চাই। পিসিবি কখনও এক বারের জন্যও বিশ্বকাপ চলাকালীন বাবরের সমালোচনা করেনি। হারের পিছনে বাবরকে দায়ীও করা হয়নি। দেখুন, বাবরকে সবাই সমীহ করে। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বাবর স্বাধীনচেতা। আমার মনে হয় সব অধিনায়কেরই সেটা থাকা উচিত। তার মানে এই নয় যে আপনি নির্বাচক কমিটির বাকি সদস্যদের কথা উপেক্ষা করবেন। প্রেস বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা ছিল যে দলটা ইনজামাম (প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক) এবং বাবরের। বাবর কখনওই কোনও ক্রিকেটারকে নিয়ে আপস করতে চায়নি। এটাই সত্যি। সবার জন্যে লড়াই করেছে। এটা কেউ শুনতে না চাইলেও বলতে হবে।”
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের মাঝে স্বার্থের সংঘাতের কারণে প্রধান নির্বাচক পদ থেকে ইনজামামকে সরে যেতে হয়। তার পরেই দল থেকে বাদ পড়েন তাঁর ভাইপো ইমাম। শোনা গিয়েছে, ইমামকে বাদ দিতে চেয়েও বাবর পারেননি ইনজামামের মদত থাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy