রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে শতরান করলেন সুদীপ ঘরামি। —ফাইল চিত্র
বাংলার দুই প্রজন্মের হাত ধরে রঞ্জি সেমিফাইনালে ম্যাচে ফিরল মনোজ তিওয়ারির দল। অনুষ্টুপ মজুমদারের পর শতরান করলেন সুদীপ ঘরামিও। ৩৮ বছরের অনুষ্টুপের পর এ বার শতরান এল ২৩ বছরের সুদীপের ব্যাট থেকে। বাংলাকে ভাল জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিলেন দুই প্রজন্মের দুই ব্যাটার।
অনুষ্টুপ যে সময় বাংলার হয়ে অভিষেক করেন, সেই সময় সুদীপের বয়স মাত্র ৫ বছর। তাঁরাই বুধবার বাংলাকে লড়াইয়ের জমি তৈরি করে দিলেন। বাংলার হয়ে তিন নম্বরে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন সুদীপ। গত মরসুম থেকেই নিয়মিত বাংলার হয়ে তিন নম্বরে নামছেন তিনি। রঞ্জির এই সেমিফাইনাল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সুদীপের ১৬ নম্বর ম্যাচ। এর মধ্যেই চারটি শতরান করে ফেললেন তিনি। তরুণ ডানহাতি ব্যাটারকে আগামী দিনের ভরসা হিসাবে দেখতেই পারে বাংলা।
মনোজ জানিয়ে দিয়েছেন এই মরসুম শেষে খেলা ছেড়ে দেবেন তিনি। ৩৮ বছরের অনুষ্টুপও যে খুব বেশি দিন আর বাংলার জার্সি পরবেন না তা বলাই যায়। রঞ্জি সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সকলের প্রিয় ‘রুকু’ (দলে অনুষ্টুপকে এই নামেই ডাকা হয়) দেখলেন বাংলা আরও এক ব্যাটারকে পেয়ে গিয়েছে, যিনি কঠিন সময়ে ঠান্ডা মাথায় দলের ভরসা হয়ে উঠতে পারেন। এত বছর ধরে যে কাজটা করে আসছেন অনুষ্টুপ, বুধবার তিনি সঙ্গী পেলেন সুদীপকে।
রিভার্স সুইপে চার মেরে শতরান করেন সুদীপ। তিন অঙ্কের রানে পৌঁছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো বুকে হাত ঠুকে আঙুল দিয়ে মাটির দিকে ইঙ্গিত করলেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন যে তিনি আছেন। বাংলাও চাইবে সুদীপ থাকুক। আরও বেশ কিছু বছর সুদীপকে ছন্দে চাইবে বাংলা। তরুণ ব্যাটারকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে তারা। আগামী দিনে সুদীপের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে তারা।
দিনের শুরুতে মাত্র ৫১ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলা। এই ম্যাচে অভিমন্যু ঈশ্বরনের সঙ্গে ওপেন করেন করণ লাল। দু’জনেই বোল্ড হলেন বলের লাইন মিস্ করে। সেই ধাক্কা সামলে নিয়েছে বাংলা। সেখান থেকে দলকে টানছেন অনুষ্টুপ এবং সুদীপ। ৮০ ওভার শেষে বাংলার স্কোর ২৮৫ রানে ২ উইকেট। অনুষ্টুপ ব্যাট করছেন ১২০ রানে। সুদীপ অপরাজিত ১০৬ রানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy