গত অস্ট্রেলিয়া সফরে তিনি ভারতের কোচ থাকলে কোনও ভাবেই সিডনি টেস্টে রোহিত শর্মাকে বসতে দিতেন না। সাফ জানালেন রবি শাস্ত্রী। ভারতের প্রাক্তন কোচের মন্তব্যে অনেকেই মনে করছেন, ঘুরিয়ে এখনকার কোচ গৌতম গম্ভীরকেই কটাক্ষ করেছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্টে ব্যক্তিগত কারণে খেলেননি রোহিত। পরের তিনটি টেস্টে রান না পাওয়ায় নিজেই সরে যান। তবে অনেকেই মনে করেন, নিজেকে বসানোর সিদ্ধান্ত রোহিতের নয়, ছিল কোচ গম্ভীরের। কারণ ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকেও এসেছিলেন তিনিই। রোহিত কেন আসেননি, তার জবাবও দিয়েছিলেন।
শাস্ত্রী জানিয়েছেন, এ বার আইপিএলের একটি ম্যাচে তিনি রোহিতের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁকে জানান, অস্ট্রেলিয়ায় থাকলে কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাতেন। আইসিসি রিভিউয়ে শাস্ত্রী বলেছেন, “রোহিতকে টসের সময় অনেক বার দেখেছি। টসের সময় খুব বেশি কিছু বলার জায়গা থাকে না। তবু এক দিন একটা ম্যাচে ওর কাঁধে হাত রেখে কথা বলেছিলাম। মনে হয় মুম্বইয়ে ছিল ম্যাচটা। রোহিতকে বলেছিলাম, আমি কোচ থাকলে তোমাকে সেই ম্যাচে কখনও বসতে দিতাম না। তোমাকে খেলতেই হত। কারণ সেটাই সিরিজ়ের শেষ ম্যাচ ছিল।”
কোহলির ক’দিন আগেই রোহিত টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। সেই হিসাবে, গত বছর মেলবোর্নই তাঁর শেষ টেস্ট হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকল।
শাস্ত্রী বলেছেন, “আমি এমন মানুষ নই যে ১-২ পিছিয়ে থাকলে হাল ছেড়ে দেব। যদি তোমার হাল ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতা থেকেও থাকে, তা হলে সেটা দেখানোর জন্য ওটা সঠিক মঞ্চ ছিল না।”
আরও পড়ুন:
শাস্ত্রীর সংযোজন, “সিডনির ওই ম্যাচটা ৩০-৪০ রানের খেলা ছিল। সেটাই রোহিতকে বলেছিলাম। সিডনির পিচ রান করার পক্ষে আদর্শ ছিল। খারাপ ফর্মে থাকা রোহিতের রানে ফেরার জন্য সঠিক পিচ। যদি ক্রিজ়ে নেমে পিচ এবং পরিবেশ বুঝে খেলতে পারত তা হলে অনায়াসে ৩৫-৪০ করে ফেলতে পারত। সিরিজ়েও সমতা ফিরতে পারত।”
এর পরেই গম্ভীরকে খোঁচা দিয়েছেন শাস্ত্রী। বলেছেন, “বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন ভাবনাচিন্তা হয়। আমার ভাবনাচিন্তা যা ছিল সেটাই বললাম। রোহিতকে সেটা জানিয়েও দিয়েছি। অনেক দিন ধরে বুকে কথাটা চেপে রেখেছিলাম। সেটা বার করতেই হত।”