বিরাট কোহলিদের প্রথম আইপিএল জয়ের উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। আহত হয়েছেন ৩৩ জন। বুধবার বিকালে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে মর্মান্তিক ঘটনার পরও স্টেডিয়ামের ভিতরে হয়েছে উৎসব। প্রশ্ন উঠেছে গোটা দেশে। অবশেষে ঘটনার ৬ ঘণ্টা পর বিবৃতি দিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষ। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও (কেএসসিএ)।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন আরসিবি সমর্থকের। আহত হয়েছেন ৩৩ জন। এই ঘটনা থেকে আগেই দূরত্ব তৈরি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বিজয় উৎসবের উদ্যোক্তা আরসিবি কর্তৃপক্ষ প্রায় ৬ ঘণ্টা পর সমাজমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। সেই বিবৃতি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়ে কোহলি লিখেছেন, ‘‘ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। অত্যন্ত হৃদয় বিদারক।’’
আরসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বিকালে দলের ফেরা উপলক্ষে বিশাল জনসমাগম হয়েছিল বেঙ্গালুরু জুড়ে। আমরা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি, সেই জমায়েতে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আমরা গভীর ভাবে মর্মাহত। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরসিবি কর্তৃপক্ষ মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি আমরা।’’ আরসিবি কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে আরও লিখেছেন, ‘‘ঘটনার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত কর্মসূচি পরিবর্তন করেছি। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ এবং পরামর্শ মতো পদক্ষেপ করেছি। আমাদের সব সমর্থককে নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করছি।’’
আরও পড়ুন:
আরসিবি দুঃখপ্রকাশ করলেও অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্নাটকের ক্রিকেট সংস্থা মৃতদের পরিবার প্রতি ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। কেএসসিএ কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘‘প্রিয়জনকে হারানো পরিবারগুলির জন্য আরসিবি এবং কেএসসিএ যৌথ ভাবে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করছে। আমাদের আশা, শোকের সময় এই পদক্ষেপ তাঁদের জন্য কিছুটা সহায়ক হবে। তাঁরা হয়তো কিছুটা সান্ত্বনা পাবেন। এই ক্ষতিপূরণ কখনও মানুষের জীবনের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। তেমন উদ্দেশ্যও নেই আমাদের। এই কঠিন সময়ে আমরা শুধু পরিবারগুলির পাশে থাকতে চাইছি। আশা করি আমাদের অবস্থান সকলে বুঝতে পারবেন।’’