ঘরের মাঠে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে ৩-৩ ড্র করল বার্সেলোনা। তবে হান্সি ফ্লিকের দলের দুর্বলতা বুঝিয়ে দিল সিমোনে ইনজাঘির দল। ভাগ্য সঙ্গ দিলে তারা ম্যাচটা জিতেও ফিরতে পারত। দ্বিতীয় পর্বে ঘরের মাঠে খেলায় বাড়তি সুবিধা পাবে ইন্টারই।
বুধবার রাতে অলিম্পিক্স স্টেডিয়ামে প্রথম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। জুলস কুন্দে একটি বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। ব্যাক ফ্লিকে বল জালে জড়ান মার্কাস থুরাম। বার্সেলোনা ধীরে ধীরে ম্যাচে আধিপত্য বাড়াতে থাকে। লেমিনে ইয়ামাল একটি পেনাল্টির আবেদন করলেও শোনা হয়নি। কিছু পরেই ইয়ামালের একটি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট।
খেলার বিপরীতে গিয়ে দ্বিতীয় গোল করে ইন্টার। একটি কর্নার থেকে বল বক্সে নামিয়েছিলেন ফ্রান্সেসকো এসার্বি। সেই বলে পা ছুঁইয়ে গোল করেন ডেঞ্জিল ডামফ্রিস। তিন মিনিট পরেই ব্যক্তিগত দক্ষতায় একটি গোল শোধ করেন ইয়ামাল। ডিফেন্ডারদের মাঝ থেকে কোণাকুণি শটে গোল করেন। এর পর ফেরান তোরেস এবং দানি অলমোকে দিয়ে গোল করানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। তবে ৩৮ মিনিটে সমতা ফেরান তোরেস।
দ্বিতীয়ার্ধে কর্নার থেকে হেডে আবার ইন্টারকে এগিয়ে দেন ডামফ্রিস। এ বারও দু’মিনিটে সমতা ফেরায় বার্সেলোনা। দূরপাল্লার শট মেরেছিলেন রাফিনহা। তা বারে লাগার পর ইন্টার গোলকিপার ইয়ান সমারের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়।
আরও পড়ুন:
ঘরোয়া লিগে টানা তিনটি ম্যাচে হারের পরেও ইন্টারের এই লড়াইয়ে খুশি কোচ ইনজাঘি। বলেছেন, “সেমিফাইনালের লড়াই কঠিনই। সমর্থকেরা জানেন আমরা কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। পরের মঙ্গলবারই আমাদের কাছে ফাইনাল।”
বার্সার কোচ ফ্লিক বলেছেন, “০-২ পিছিয়ে থাকার সময়েও আমরা ভেঙে পড়িনি। দুটো দারুণ ক্লাবের মধ্যে সেমিফাইনাল হয়েছে। ইন্টারের অভিজ্ঞতা কতটা সেটা ওরা দেখিয়ে দিয়েছে।”