চলতি মরসুমেই আবার ইউরোপে খেলতে দেখা যেতে পারে রোনাল্ডোকে। ছবি: টুইটার।
বিপুল টাকার বিনিময়ে মরসুমের মাঝে আল নাসের তাঁকে দলে নিয়েছে। অথচ সুযোগ এবং সময় হলেই ইউরোপের একটি ক্লাবে চলে যাবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এমন গোপন এবং কঠিন শর্তেই সৌদি আরবের ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি করেছেন পর্তুগিজ তারকা।
ইউরোপের প্রথম সারির ক্লাবগুলি মরসুমের মাঝে তাঁকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে কিছুটা বাধ্য হয়েই রিয়াধের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন রোনাল্ডো। যদিও পর্তুগিজ তারকার মন পড়ে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। উয়েফা এই প্রতিযোগিতায় খেলে এমন কোনও ক্লাবেই খেলতে চেয়েছিলেন রোনাল্ডো। সেই ইচ্ছা আপাতত পূরণ না হলেও ইউরোপের দরজা খুলেই এশিয়ায় খেলতে এসেছেন তিনি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করলে, তাদের জার্সি পরবেন পর্তুগালের অধিনায়ক। আল নাসের ছেড়ে চলে যাবেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের হয়ে খেলতে। আল নাসেরের সঙ্গে রোনাল্ডো যে চুক্তিপত্র সই করেছেন, তাতেই লেখা রয়েছে এই শর্ত। নিউক্যাসল যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলে রোনাল্ডো অবশ্য সৌদির ক্লাবের হয়েই খেলা চালিয়ে যাবেন। রোনাল্ডোকে ক্লাবের জার্সি পরাতে মরিয়া আল নাসের কর্তারা তাঁর এই শর্ত মেনে নিয়েছেন।
স্পেনের দৈনিক মার্কার দাবি, নিউক্যাসেল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম চার দলের মধ্যে শেষ করতে পারলেই লন্ডনের বিমানে উঠবেন রোনাল্ডো। লোনে খেলতে যাবেন নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের হয়ে। রোনাল্ডোর এই ইচ্ছাপূরণ হওয়ার পিছনে অবশ্য রয়েছে সৌদি আরবের স্বার্থও। ২০২১ সালের অক্টোবরে নিউক্যাসলের মালিকানা কিনেছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন একটি গোষ্ঠীর হাতে। সেই সূত্রে নিউক্যাসেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করলে রোনাল্ডো খেলবেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির হয়ে। আর্থিক সঙ্গতির বিচারে নিউক্যাসেল এখন বিশ্বের অন্যতম বিত্তশালী ক্লাব। রোনাল্ডোর বেতন দেওয়ার মতো সামর্থ্য রয়েছে তাদের। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে নিউক্যালেস। লিগের শেষ পর্যন্ত এই অবস্থান বজায় রাখতে পারলেই রোনাল্ডোকে পাবে তারা।
স্পোর্টিং লিসবন, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, আবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড হয়ে আল নাসেরে সই করলেও এটাই তাঁর শেষ ক্লাব নয় বলে জানিয়েছেন রোনাল্ডো। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা আমার কেরিয়ারের শেষ নয়। আমি একটা বদল চেয়েছিলাম। সত্যি বলতে, কে কী বলছে তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে খেলতে এসে খুব খুশি। সৌদির লিগ যথেষ্ট কঠিন। আমি অনেকগুলো ম্যাচ দেখেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy