নিজের চ্যানেলের হয়ে ক্যামেরার সামনে সরাসরি বিশ্বকাপের সম্প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তার মধ্যেই চুরি হয়ে গেল মানিব্যাগ। টাকা তো বটেই, ক্রেডিট কার্ড এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে ফেললেন আর্জেন্টিনার সাংবাদিক ডোমিনিক মেৎজগার। দোহার একটি জায়গায় কর্মরত থাকাকালীন এই ঘটনা ঘটেছে।
চুরি হওয়াই শুধু নয়, থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে আরও বেশি হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, চোরকে খুঁজে পাওয়া গেলে কী ধরনের শাস্তি দিতে চান তিনি? ডোমিনিক হতবাক হয়ে যান। উত্তর দিতে পারেননি। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গোটা ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেছেন তিনি।
আর্জেন্টিনা একটি চ্যানেলে কাজ করেন ডোমিনিক। রবিবার দোহার একটি জায়গায় ক্যামেরার সামনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। তখনই হ্যান্ড ব্যাগ চুরি হয়ে যায়। হিংসাত্মক কোনও ঘটনা ঘটেনি। নিঃশব্দে চুরি হয়েছে। ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করতে যাওয়ার সময় টের পান ডোমিনিক। পরে তিনি ইনস্টাগ্রামে বলেন, “আমি ঠিক আছি। বলা হচ্ছে এটা নাকি নিরাপদ জায়গা। কিন্তু আমি এমন একটা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি যা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। কয়েক ঘণ্টা আগে এই জায়গায় বেশ ভিড়। তার মাঝেই আমার ব্যাগ চুরি হয়েছে।”
Argentine reporter Dominique Metzger had her wallet stolen in Qatar. She revealed that, when the Qatari police spoke to her, they asked “Which punishment would you like for the thief when we find them: 5 years in prison or deportation?” pic.twitter.com/CCZJYXM37t
— Zach Lowy (@ZachLowy) November 20, 2022
আরও পড়ুন:
অভিযোগ জানাতে গিয়ে এক মহিলা পুলিশের অপ্রীতিকর প্রশ্নের সামনে পড়েন ডোমিনিক। বলেছেন, “থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েও সংস্কৃতিগত পার্থক্যের সম্মুখীন হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক জানান, উচ্চমানের ক্যামেরা লাগানো রয়েছে চার দিকে। তাই সহজেই ফেস ডিটেকশনের মাধ্যমে চোরকে খুঁজে বের করা যাবে। এর পরেই তিনি জানতে চান, চোরকে খুঁজে পেলে কী শাস্তি দিতে চাই আমি? পাঁচ বছরের জন্যে জেলে পাঠাতে চাই। নাকি তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে চাই?”
ডোমিনিক আরও জানান, বার বার একই প্রশ্ন করছিলেন ওই মহিলা পুলিশ। তিনি শুধু বলেন, জিনিস ফিরে পেতে চান। পুলিশ যে শাস্তি মনে করবে, সেটাই দিক। ওই ঘটনার পরেও নিজের কাজ করেন ডোমিনিক। উদ্বোধনী ম্যাচেও হাজির ছিলেন।