রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে শেষ ম্যাচটা ভাল গেল না লুকা মদ্রিচের। ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্যারিস সঁ জরমেঁর কাছে ০-৪ গোলে হারল তাঁর দল। ফলে বিদায়টা খুব ভাল হল না ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারের। তবে রিয়ালের হয়ে গত ১৩ বছরে যে সব কীর্তি তিনি অর্জন করেছেন তা কোনও ভাবেই খাটো করা যাবে না।
বুধবার রাতের ম্যাচে ৬৪ মিনিটে পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসাবে মাঠে নেমেছিলেন মদ্রিচ। ক্লাব বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই পরিবর্ত হিসাবে খেলেছেন। তবে বুধবার দলের জন্য কিছুই করতে পারেননি। তখনই রিয়াল ০-৩ গোলে পিছিয়ে ছিল। পরে আরও একটি গোল খায়।
রিয়ালে এসে ছ’টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন মদ্রিচ। চারটি ঘরোয়া লিগের পাশাপাশি স্পেনের প্রায় সব ট্রফিই এক বার করে হাতে তুলেছেন। ট্রফির নিরিখে রিয়ালের সফলতম ফুটবলার তিনিই। ম্যাচের পর রিয়াল কোচ তথা মদ্রিচের প্রাক্তন সতীর্থ জ়াবি আলোন্সো বলেছেন, “খুব দুঃখজনক ভাবে সব শেষ হল। কিন্তু মদ্রিচ ফুটবলের কিংবদন্তি। রিয়াল মাদ্রিদ সারাজীবন ওকে মনে রাখবে।”
রিয়ালের অধ্যায় সমাপ্তির কথা জানিয়ে মদ্রিচ সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, “মুহূর্তটা এসেই গেল। কোনও দিন চাইনি এই মুহূর্তটা আসুক। তবে এটাই ফুটবল। জীবনে সব কিছুর শুরু এবং শেষ আছে। ২০১২ সালে বিশ্বের সেরা দলের জার্সি পরার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল। দারুণ কিছু করতে চেয়েছিলাম। ভাবতেও পারিনি বাকি বছরগুলো এমন যাবে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলে ফুটবলার এবং মানুষ হিসাবে আমার জীবন বদলে গিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।”
আরও পড়ুন:
রিয়ালের কোচ আলোন্সো যে ভাবে দলকে আগামী দিনে গড়ে তুলতে চান, তার অংশ নন মদ্রিচ। ৩৯ বছর বয়সই এ ক্ষেত্রে অন্তরায়। যে পরিশ্রম রিয়ালের মাঝমাঠে দরকার, তা মদ্রিচ করতে পারবেন না জেনেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাড়ায়নি ক্লাব। পরের মরসুমে মদ্রিচকে খেলতে দেখা যাবে এসি মিলানে। সেই দলের কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি বলেছেন, “আমি ওকে দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।”