অনিরুদ্ধ থাপা এবং দিমিত্রি পেত্রাতোসের উচ্ছ্বাস। ছবি: এক্স।
কার্যত সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। বেঙ্গালুরুর মাঠে বেঙ্গালুরু এফসি-কে সেই ম্যাচে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল সবুজ-মেরুন। সুনীল ছেত্রী পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেননি। বেঙ্গালুরুও পারেনি। ম্যাচের ফল মোহনবাগানের পক্ষে ৪-০।
লিগ-শিল্ড জয়ের লড়াইয়ে থাকতে হলে মোহনবাগানকে বৃহস্পতিবার জিততেই হত। এমন ম্যাচে বেঞ্চে কোচ আন্তেনিয়ো লোপেজ় ছিলেন না। তাঁর শরীর এখনও পুরোপুরি ঠিক হয়নি। তাতে মোহনবাগানের যদিও অসুবিধা হয়নি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোসেরা। গোলের মুখ প্রথম খোলে ১৭ মিনিটে। পেত্রাতোসের কর্নার থেকে আসা বলে বাঁ পায়ে ভলি মেরেছিলেন হেক্টর ইয়ুস্তে। কিন্তু প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ হন। বল লাগে ক্রসবারে। ফিরতি বলে ডান পায়ে শট নেন তিনি। এ বার আর গোল করতে ভুল করেননি।
পরের ১০ মিনিট বেঙ্গালুরুর উপর চেপে বসেছিল মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ সামলাতে হচ্ছিল বেঙ্গালুরুর রক্ষণভাগকে। কিন্তু মোহনবাগান সেই সময় গোল করতে পারেনি। বরং ৩৯ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু। ছেত্রীকে বক্সের মধ্যে আটকাতে গিয়ে ফাউল করে ফেলেছিলেন আনওয়ার আলি। হলুদ কার্ড দেখেন আনওয়ার। কিন্তু সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি ছেত্রী। বল লাগে ক্রসবারে।
বেঙ্গালুরু গোটা ম্যাচেই আর গোলের মুখ খুলতে পারল না। প্রথমার্ধ ১-০ গোলে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে দেয় মোহনবাগান। ৫১ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল সবুজ-মেরুনের। মনবীর সিংহ গোল করেন। বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহের হাতের তলা দিয়ে বল ঢুকিয়ে দেন তিনি। গোলের পাসটি বাড়িয়ে ছিলেন জনি কাউকো। তিন মিনিটের মধ্যে ৩-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এ বার গোল করেন অনিরুদ্ধ থাপা। কাউকো গোলমুখী শট নিয়েছিলেন। সেই বল আটকে দেন গুরপ্রীত। ফিরতি বলে ধরে পেত্রাতোস পাস বাড়িয়ে দেন থাপাকে। গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
বেঙ্গালুরুর কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন আর্মান্দো সাদিকু। বেঙ্গালুরুর রক্ষণভাগ নিয়ে তখন ছিনিমিনি খেলছে মোহনবাগান। গুরপ্রীতকে দেখেও মনে হচ্ছে না তিনি দেশের সেরা গোলরক্ষক। বক্সের মধ্যে বল পেয়েছিলেন মনবীর। তিনি পাস বাড়িয়ে দেন সাদিকুকে। গুরপ্রীত তখন মনবীরকে আটকাতে তাঁর দিকে এগিয়ে গিয়েছেন। ফাঁকা গোলে বল জালে জড়িয়ে দেন সাদিকু। মোহনবাগান ৪-০ গোলে এগিয়ে যায়।
এই জয়ের ফলে ২১ ম্যাচে মোহনবাগান পেল ৪৫ পয়েন্ট। লিগে দ্বিতীয় স্থানে তারা। মুম্বই সিটি একই সংখ্যক ম্যাচ খেলে পেয়েছে ৪৭ পয়েন্ট। শীর্ষে রয়েছে। এই দুই দলের ম্যাচ রয়েছে ১৫ এপ্রিল। লিগ-শিল্ড জয়ের ক্ষেত্রে ওই ম্যাচই এখন নির্ণায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy