এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২ খেলতে না যাওয়ায় মোহনবাগানকে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সমর্থকদের রোষের মুখে পড়েছেন কোচ হোসে মোলিনা। সম্প্রতি সবুজ-মেরুন সমর্থকদের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঝামেলা হয়েছে দিমিত্রে পেত্রাতোসের। এই আবহে আইএফএ শিল্ডের প্রথম ম্যাচে গোকুলমের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। সব বিতর্ক মাঠের বাইরে রেখে ৫-১ গোলে জিতল তারা। গোকুলমকে দাঁড়াতে দিলেন না সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। এই জয় অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে তাঁদের।
বৃহস্পতিবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে গ্রুপের প্রথম ম্যাচ ছিল মোহনবাগানের। তবে পুরো দল পাননি মোলিনা। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়েছেন লিস্টন কোলাসো, দীপক টাংরি, সাহাল আব্দুল সামাদেরা। নেই সুহেল ভাট, দীপেন্দু বিশ্বাসেরাও। ফলে তাঁদের ছাড়াই দল সাজিয়েছিলেন মোলিনা। যাঁরা ছিলেন, তাঁরাই চমৎকার ফুটবল উপহার দিলেন।
শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল শুরু করে মোহনবাগান। কিয়ান নাসিরি, জেমি ম্যাকলারেন, রবসন রোবিনহোরা ভাল খেলছিলেন। সেট পিসে যে মোলিনা বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তা বোঝা গেল। ১১ মিনিটের মাথায় আলবের্তো রদ্রিগেজ়ের গোলে এগিয়ে যায় বাগান। ২৭ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ান ম্যাকলারেন। গোকুলম অবশ্য কয়েক বার প্রতিআক্রমণ থেকে সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করে। কিন্তু বাগান রক্ষণকে ভাঙতে পারেনি তারা। ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় মোহনবাগান।
আরও পড়ুন:
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হাসি ফোটে গোকুলমের মুখে। আত্মঘাতী গোল করেন আপুইয়া। যদিও সেই হাসি বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। উল্টে গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়ায় বাগান। ৫১ মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন রদ্রিগেজ়। ৫৪ মিনিটের মাথায় গোল করেন রবসন। এ বছরই বাগানে এসেছেন এই ব্রাজিলীয়। সবুজ-মেরুন জার্সিতে এটি তাঁর প্রথম গোল। ৭৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোল করে খেলার ফল নিশ্চিত করে দেন ম্যাকলারেন।