Advertisement
E-Paper

দু’বছর নির্বাসিত অলিম্পিয়ান দীপা, ডোপিং বিধি ভাঙার শাস্তি ভারতীয় জিমন্যাস্টকে

ওয়াডার নির্দেশ মেনে ডোপ পরীক্ষা দেননি দীপা। অভিযোগ, বার বার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি তিনি এবং তাঁর কোচ। তাই ডোপিং বিধি লঙ্ঘনের অপরাধে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৫৯
ডোপিং বিধি না মানায় দু’বছরের জন্য নির্বাসিত দীপা কর্মকার।

ডোপিং বিধি না মানায় দু’বছরের জন্য নির্বাসিত দীপা কর্মকার। ছবি: টুইটার।

দু’বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন দীপা কর্মকার। ভারতের অন্যতম সেরা জিমন্যাস্টের বিরুদ্ধে ডোপিং বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ভারতীয় জিমন্যাস্টকে নির্বাসিত করলেও এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন। শুধু জানানো হয়েছে ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত দীপা। নির্বাসনের ফলে দীপার খেলোয়াড় জীবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

২০২২ সালের শুরুর দিকেই দীপাকে নির্বাসিত করা হতে পারে বলে শোনা যায়। ঠিক কী কারণে তাঁকে নির্বাসিত করা হয়, তা নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন দীপা এবং তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী। তার পর থেকে দীপাকে খুব বেশি প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে ডোপিং বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে নির্বাসনের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। দীপার শাস্তি নিয়ে মুখ খোলেনি ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনও। মন্তব্য করা হয়নি ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডার পক্ষ থেকেও।

দীপাকে ডোপ পরীক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডা। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ মানেননি। একাধিক বার ওয়াডার নির্দেশ উপেক্ষা করার অভিযোগ রয়েছে দীপার বিরুদ্ধে। যা তাঁর নির্বাসনের প্রধান কারণ। ২০১৬ সালে রিয়ো অলিম্পিক্সে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছিলেন দীপা। তাঁর প্রোদুনোভা ভল্ট উঠে এসেছিল আলোচনায়। অল্পের জন্য ব্রোঞ্জ পদক হাতছাড়া হয়েছিল দীপার। তার আগে ২০১৪ সালে গ্লাসগো কমওয়েলথ গেমসে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন তিনি।

২০১৭ সালে অস্ত্রোপচার হয় দীপার। ২০১৯ সালে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ব জিমন্যাস্টিক্সে। তার পর আর বড় কোনও প্রতিযোগিতায় দেখা যায়নি ত্রিপুরার জিমন্যাস্টকে। খেলোয়াড় জীবনে বার বার চোট আঘাত ভুগিয়েছে তাঁকে। মনে করা হচ্ছে চোট সারানোর জন্য কোনও ওষুধ খেয়েই সন্দেহের চোখে পড়েন তিনি। তাই ডোপ পরীক্ষা না দিয়েও শাস্তি এড়াতে পারেননি দীপা। বার বার যোগাযোগ করেও দীপা বা তাঁর কোচের লাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ওয়াডার।

ভারতের অন্যতম সেরা জিমন্যাস্টের এই শাস্তির দায় নিতে রাজি নয় স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সাই। তাঁরা এই ঘটনার জন্য দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর এবং ত্রিপুরা সরকারের ক্রীড়া দফতরের দায়িত্বজ্ঞান হীনতাকেই দায়ী করছে। কারণ, দীপার সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর।

Dipa Karmakar suspend Doping WADA NADA gymnastics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy