চিন্তিত জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন। ফাইল চিত্র।
ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পরেই অস্ট্রেলিয়ার সাজঘরে অশান্তি। এবার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। দলের হেড কোচকে চাইছেন না একাধিক সিনিয়ররা। এমনই চাঞ্চল্যকর খবর নিয়ে তোলপাড় অজি সংবাদমাধ্যম। শোনা যাচ্ছে ব্রিসবেন টেস্টের সময় থেকে দলের বিভিন্ন নীতি নিয়ে কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে ল্যাঙ্গারের মতবিরোধ চরমে ওঠে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কোচের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার নাকি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তাদের চিঠি পর্যন্ত লিখেছেন। প্রাক্তন অজি ওপেনারের সঙ্গে সেই দেশের বোর্ডের আরও ১৮ মাসের চুক্তি থাকলেও তাঁকে তিন ফরম্যাটে হেড কোচ হিসেবে মেনে নিতে পারছে না সিনিয়রদের একাংশ। বদলে সহকারী কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ক্রিকেটারদের অনেক পছন্দের।
যদিও ল্যাঙ্গার কিন্তু গোটা ব্যাপারটা পাত্তা দিতে নারাজ। বরং তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, “গোটা বিষয়টা সত্যের থেকে অনেক দূরে রয়েছে।” তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা বলেছেন, “ল্যাঙ্গার দলকে উদ্বুদ্ধ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। একে তো মাসের পর মাস জৈব বলয়ে থেকে ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, এর মধ্যে কোচের রণনীতি বোঝা দায়। একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটাররা কোচের ব্যবহারেও ক্ষুব্ধ। ড্রেসিংরুমে একটা গুমোট পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা মোটেও কাম্য নয়।”
কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণ? সেই বোর্ড কর্তা বলেন, “সমস্যা অনেকদিন চলছিল। তবে ব্রিসবেন টেস্টের একদিন লাঞ্চ টেবলে বিতর্ক চরমে ওঠে। ফিল্ডারদের ঠিকঠাক জায়গায় রাখা এবং বোলিং পরিবর্তন, এই দুটি বিষয়ে কোচের সঙ্গে সিনিয়ররা একমত হতে পারছিলেন না। তখনই ঝামেলা চরমে ওঠে। টেস্ট চলার জন্য তখন কেউ মুখ খোলেনি। তবে ড্রেসিংরুমের খবর বাইরে আসছে।”
যার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ সেই ল্যাঙ্গার অবশ্য বলছিলেন, “ইদানীং সত্য যাচাই করা হয় না।” এরপরেই যোগ করেছেন, অনেকের মধ্যে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মানসিকতা থাকলেও কখনও আবার নিজেদের মধ্যেই অদ্ভুত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। এটাই জীবন। জাতীয় দলের কোচিং করা অনেক বড় দায়িত্ব। সেটা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছি। তবে মাঝেমধ্যে মানসিক চাপও নিতে হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy