ফের অশ্বিন ম্যাজিক। বিধ্বস্ত টেলরের স্টাম্প। ছবি: রয়টার্স।
সকালে শুরুটা করেছিলেন পূজারা-গম্ভীর। আর দশমীর বিকালে নিউজিল্যান্ড বিসর্জন সম্পূর্ণ করলেন সেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে একাই শেষ করে দিলেন কিউয়ি ব্যাটিংকে। ৩২১ রানের বিশাল ব্যবধানে ইনদওর টেস্ট জিতে হোয়াইট ওয়াশ সম্পূর্ণ করল বিরাট অ্যান্ড কোং।
কোহালি-অশ্বিনদের দেখানো রাস্তাতে হেঁটে সকালেই ফের এক বার কিউই বধের মঞ্চ তৈরি করে ফেলেছিলেন পূজারা-গম্ভীর। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার দাগ মুছে ব্যাট হাতে নজর কাড়লেন দু’জনেই। গম্ভীর হাফসেঞ্চুরি করে আউট হলেও সেঞ্চুরি করলেন পূজারা। ১০১ রানে অপরাজিত থেকে গেলেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে যেখানে শেষ করেছিলেন, মঙ্গলবার সেখান থেকেই শুরু করলেন পূজারা। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে স্যান্টনারের বলে বোল্ড হয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করছিলেন তিনি। অসাধারণ ফর্ম বজায় রেখে সিরিজে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরিটা করে ফেললেন তিনি। সিরিজে অবশ্য এর আগেই তিনটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।
তৃতীয় দিনের শেষে কাঁধে চোট পেয়ে গম্ভীর বেরিয়ে যাওয়ায় তিনি আদৌ আর ব্যাট করতে পারবেন কি না আশঙ্কায় ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এ দিন কিন্তু মুরলি বিজয় আউট হতেই স্বমেজাজে ব্যাট করতে নামেন কেকেআর অধিনায়ক। মাত্র ৫৬ বলে ৫০ রান করেন তিনি।
সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাস।
পূজারার সেঞ্চুরির পরই নিউজিল্যান্ডের সামনে ৪৭৬ রানের বিশাল লক্ষমাত্রা রেখে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন বিরাট কোহালি।
ব্যাট করতে নেমেই আউট হন কিউই ওপেনার টম লাথাম। উমেশ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের বেশ কয়েক জন প্রতিরোধ গড়ে তুললেও এই ইনিংসে কাউকেই তেমন কিছু করতে দেখা গেল না। স্ট্র্যাটেজির মাথামুণ্ড কিছুই ছিল না টেলরদের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ টেলর-গাপ্তিলের ৩৮। কিউই ব্যাটসম্যানদের উইকেট ছুড়ে দেওয়ার প্রবণতা তো ছিলই, পাশাপাশি ছিল অশ্বিনের ম্যাজিক। প্রথম ইনিংসে ছ’উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন সাত উইকেট। ম্যাচে মোট ১৩ উইকেট। অশ্বিনের কেরিয়ারের এটাই সেরা পারফরম্যান্স। ভারতের সেরা অফস্পিনারের দাপটে এক সেশনেই কিউয়িদের গেল ন’উইকেট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy