ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক বছর ধরে মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখার সময়সীমা কমে চলেছে বলে পরীক্ষকদের একাংশের অভিযোগ। গত বারের থেকে এ বার সেই সময় আরও কমছে। এ দিকে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, বুধবার, জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষাতেও অন্তত তিন জন পরীক্ষার্থী মোবাইল-সহ ধরা পড়েছে। ফরাক্কার একটি স্কুল থেকে প্রশ্ন বেরোনোর অভিযোগ উঠলেও তা সত্যি নয় বলে জানানো হয়েছে।
পরীক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ২০১৮ সালে খাতা দেখতে ২৬-২৭ দিন সময় মিলত। ২০১৯-এ তা কমে হয় ২৩-২৪ দিন। এ বছর সেটা আরও কমে হয়েছে ১৯-২০ দিন। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘পর্ষদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১৭ মার্চ ও ২৬ মার্চ, দু’দফায় খাতা জমা দিতে হবে। আগে তিন দফায় খাতা দেওয়া যেত এবং খাতা দেখতে মিলত বেশি সময়।’’ শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘অনেক পরীক্ষক একই সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকেরও খাতা দেখেন। তাঁদের উপরে চাপ বেড়ে যায়। খাতা দেখার ক্ষেত্রে সমবণ্টন হলে পরীক্ষকদের উপরে চাপ কমে।’’
গত বার রিভিউয়ে মাধ্যমিকের মেধা-তালিকায় হেরফের হয়েছিল। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, খাতা দেখার সময় কমালে দ্রুত খাতা দেখতে হয়। ভুলভ্রান্তির আশঙ্কা বাড়ে। এই বিষয়ে পর্ষদ-সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: লিখিত ‘মতামত’ চাইলেন সাংসদ
পর্ষদ সূত্রের খবর, এ দিন হুগলির একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে দু’জন ছাত্রী এবং কলকাতার একটি স্কুলে মোবাইল-সহ এক ছাত্র ধরা পড়ে। তাদের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। অভিযোগ ওঠে, ফরাক্কার একটি স্কুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্ন বেরিয়ে গিয়েছে। সেখানকার শিক্ষকেরা জানান, ওই এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। কাজেই স্কুল থেকে প্রশ্ন বেরোনোর কথা নেহাতই গুজব। এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে মোবাইল ধরার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটি ঘরে বাড়তি নজরদার থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy