Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Coal Smuggling

কয়লা পাচার: তল্লাশি জেলা-কলকাতায়

হিরাপুর থানার নরসমুদা কোলিয়ারি লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা, এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিআরপি-কে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় আয়কর।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪৩
Share: Save:

কয়লা পাচার চক্রের খোঁজে বৃহস্পতিবার রাজ্যের ৩০টি স্থানে তল্লাশি চালাল আয়কর দফতর। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল-দুর্গাপুর, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। আয়কর সূত্রের দাবি, এ দিনের তল্লাশিতে কিছু ব্যাঙ্ক লেনদেনের ই-নথির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তা দেখে আয়কর কর্তাদের দাবি, এক ‘প্রভাবশালীর’ স্ত্রীয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কয়লা পাচারের টাকা গিয়েছে বলেই তাঁদের সন্দেহ।

সূত্রের দাবি, খনি এলাকায় কয়লার কারবারে যুক্ত এক ব্যক্তির নিতুড়িয়া-ভামুড়িয়া গ্রামের বাড়ি ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দফতরে তল্লাশি হয়েছে। বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে নগদ টাকা। ওই ব্যক্তির বাড়ির সামনে শ’দেড়েক মানুষ জড়ো হন। আয়কর কর্তারা তাঁর সম্পত্তির হিসাব কষতে সরকারি ভ্যালুয়ার ডেকেছিলেন। জড়ো হওয়া জনতা ইট-পাটকেল ছুড়ে তাঁদের এলাকায় ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ। রাত পর্যন্ত এলাকা থেকে বেরোতে পারেননি আয়কর কর্তারা।

হিরাপুর থানার নরসমুদা কোলিয়ারি লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা, এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিআরপি-কে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় আয়কর। মাস আটেক আগে ঝাড়খণ্ডে ওই ব্যবসায়ীর কয়েকটি গাড়ি ধরা পড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িতে ‘অবৈধ’ কয়লা ছিল। এ ছাড়া, দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের সি-জ়োনের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে, অফিসে অভিযান চালানো হয়। কমিশনারেটকে জানিয়ে অভিযান হয়েছে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি কমিশনার।

আরও পডুন: আগামী ৩ বছরে রাজ্যে ৩৫ লক্ষ কাজের ঘোষণা মমতার​

আরও পডুন: গৃহশিক্ষকতা: মুচলেকার নির্দেশ উত্তর ২৪ পরগনায়

প্রসঙ্গত, এ দিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে সিআরপি নিয়ে রেড হচ্ছে। আজই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাঁকুড়াতে নিমন্ত্রণ খেতে এসেছেন। কী প্ল্যান রে বাবা!’’ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রীয় এজেন্সি চলে আসছে। সেন্ট্রাল থেকে পুলিশও নিয়ে চলে আসছে। কেন্দ্রীয় সরকার এ ভাবে রাজ্যগুলিতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। পুলিশ অফিসারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ‘আমাদের কথা না শুনলে আয়কর, ভিজিল্যান্সে ধরিয়ে দেব। ভদ্রতা রেখে কাজ করবেন। লক্ষ্মণরেখা পেরোবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coal Smuggling Coal Administration Electricity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE