বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।—ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে শাসক ও বিরোধী সব দল মিলিত ভাবে আর্জি জানাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এরই পাশাপাশি করোনা চিকিৎসার স্বার্থে রাজ্যের হাসপাতালগুলির জন্য নিজেদের বিধায়ক তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিল বামফ্রন্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে ওই সিদ্ধান্তের কথা মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী বাম বিধায়কদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই বিপর্যয়ের সময়ে এবং ভয়াবহ এক যুদ্ধের ক্ষেত্রে এক এক জন নাগরিকের এক একটি টাকাও রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বামেদের মতো রাজনৈতিক স্তরে সিদ্ধান্ত না করলেও রাজ্যের বিজেপি সাংসদেরা নিজেদের মতো করে করোনা তহবিলে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই টাকা কোন হাসপাতালে কী ভাবে খরচ হবে, তা ঠিক করার ভার সংশিষ্ট জেলাশাসকদের উপরেই ছেড়ে দিচ্ছেন তাঁরা। নিজেদের সাংসদ তহবিল থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সুভাষ সরকার ১ কোটি টাকা করে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী-সহ রাজু বিস্তা, জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, কুঁওয়ার হেমব্রম ৫০ লক্ষ টাকা করে এবং সুকান্ত মজুমদার ৩০ লক্ষ টাকা করোনা মোকাবিলায় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক তথা বাম পরিষদীয় নেতা সুজনবাবু এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সংক্রমণের চিকিৎসা পরিকাঠামো ও উপকরণের জন্য বাম বিধায়কেরা ন্যূনতম ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করবেন। বামফ্রন্টের বিধায়ক এখন ২৬ জন। তাঁদের বিধায়ক তহবিল থেকে এই বরাদ্দের কথা সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সুজনবাবু লিখেছেন, ‘কোভিড-১৯’এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। এই বিষয়ে আপনার কোনও পরামর্শ থাকলে অবশ্যই জানাবেন’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy