কাজের খোঁজে: মাস্কে মুখ ঢেকে রাস্তায়। হাওড়ার মল্লিকফটক এলাকায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
কলকাতার পাশাপাশি এ বার হাওড়ায় একের পর এক পুলিশকর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসছে। তাতেই চড়ছে প্রশাসনের উদ্বেগের পারদ। শিবপুর ও বটানিক্যাল গার্ডেন থানার পরে করোনায় আক্রান্ত হলেন সাঁতরাগাছি থানার দুই পুলিশকর্মী। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় হাওড়া সিটি পুলিশের অনেক কর্মী ও আধিকারিককেই ইতিপূর্বে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বেশ কয়েক দিন ধরেই সর্দি-কাশি-জ্বরে ভুগছিলেন সাঁতরাগাছি থানার দুই পুলিশকর্মী। হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠিয়েছিলেন। শনিবার দু’জনেরই রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ওই রাতেই দুই পুলিশকর্মীকে হাওড়ার দু’টি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরেই ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশে। ওই দুই পুলিশকর্মীর সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্তারা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, যাতে দ্রুত তাঁদের চিহ্নিত করে কোয়রান্টিনে পাঠানো যায় তা দেখা হচ্ছে।
এ দিকে, হাওড়া শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই হাওড়া পুরসভার তরফে নমুনা সংগ্রহের কেন্দ্রও বাড়ানো হচ্ছে। লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতে পুরসভা আরও দু’টি কিয়স্ক বাড়িয়েছে। সেই দু’টি কিয়স্ক রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেন ও জেলিয়াপাড়ায় বসানো হয়েছে। জ্বর না কমলে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে গিয়ে লালারসের নমুনা দিতে পারবেন। পুরসভা সূত্রের খবর, এই নিয়ে হাওড়া শহরে ছ’টি কিয়স্ক হল।
হাওড়ার পুর কমিশনার ধবল জৈন জানান, স্থানীয়দের পাশাপাশি ভিন্ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদেরও শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। শ্রমিক নিয়ে আসা বাস সাঁতরাগাছিতে পৌঁছলেই প্রথমে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। তাঁরা যে এলাকায় থাকেন সেখানকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে লালারসের নমুনা দিতে বলা হচ্ছে। রবিবারও দক্ষিণ ভারত থেকে ৫৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসে একটি বাস। রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় মালদহের বাসিন্দা ওই শ্রমিকদের দু’টি বাসে সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যে এক দিনে আক্রান্ত ১৫৩, হাওড়ার পর এ বার চিন্তা বাড়াচ্ছে হুগলিও
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy