—ফাইল চিত্র।
সংবিধান প্রণয়ন দিবস পালন নিয়ে এ বার রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে নতুন বিরোধের ক্ষেত্র তৈরি হতে চলেছে।
আগামী ২৬ নভেম্বর সংবিধান প্রণয়ন দিবস। সেই উপলক্ষে সংবিধানের নানা দিক তুলে ধরতে আগামী ২৬ এবং ২৭ নভেম্বর দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন হবে। মঙ্গলবার সরকারের তরফে এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করে জানান, ওই দিন রাজভবনেও সংবিধান দিবস পালিত হবে। এবং এই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য মাসখানেক আগেই ব্যক্তিগত স্তরে মুখ্যমন্ত্রী এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে রাজ্যপালের আমন্ত্রণ গিয়েছে।
এর আগে একই দিনে রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনী এবং রাজভবনে সেখানকার কর্মীদের বিজয়ার অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এ বার সংবিধান প্রণয়ন দিবসের দু’টি সমান্তরাল অনুষ্ঠান হলে আরও বড় বিতর্ক তৈরি হতে পারে বলে রাজনৈতিক শিবিরের ধারণা।
মঙ্গলবার বিধানসভায় নিজের ঘরে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২৬ নভেম্বর সংবিধান প্রণয়ন দিবস। এই উপলক্ষে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে সংবিধানের নানা দিক নিয়ে দু’দিন আলোচনা হবে। রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলকে ওই আলোচনায় অংশ নিতে আবেদন জানানো হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার কথা বিধানসভার অনুষ্ঠানে। সংবিধান সংক্রান্ত আলোচনায় বিধায়কদের পাশাপাশি আমন্ত্রিত কে কে থাকবেন, তা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন বলে পার্থবাবু জানান।
হঠাৎ কেন সংবিধান দিবস পালনের জন্য বিশেষ অধিবেশন ডাকা হচ্ছে? রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের একের পর এক সংঘাতের আবহেই কি এই অধিবেশন?
সরাসরি জবাব না দিয়ে পার্থবাবু বলেন, ‘‘ভারতের সংবিধান নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে কে কী বলবেন, তা আগে থেকে বলা যায় না। আর গ্লাসের অর্ধেকটা ফাঁকা না অর্ধেকটা ভরা, তা কে কী ভাবে দেখছেন, তার উপর নির্ভর করে।’’
বিশেষ এই অধিবেশনের পরে একদিন বিরতি দিয়ে ২৯ নভেম্বর থেকে মূল অধিবেশন বসবে বলেও পার্থবাবু জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সাত-আটদিন অধিবেশন করার চেষ্টা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy